|
|
|
|
পঞ্চায়েত ভোটে বরাকে নিহত এক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্য দিয়ে শেষ হল অসমের বরাক উপত্যকার পঞ্চায়েত নির্বাচন। যেন গোয়ালপাড়ার সঙ্গেই তাল রাখতে গিয়ে যেন কাছাড় জেলার সোনাইয়েও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এক বিজেপি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার দুই জায়গায় শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। এ ছাড়াও বেশ কিছু জায়গায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ছাপ্পা ভোটের খবর মিলেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন জেলাতেই বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রে আবার ভোট নেওয়া হবে।
কাছাড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব বরা জানান, সোনাই থানার মাঝিরগ্রাম নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ শেষ করে যখন বাক্স বাঁধা হচ্ছিল, সে সময় কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থলেই আলতাফ হোসেন লস্কর নামে এক বিজেপি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এ জেলার কাটিগড়ায় বেশ ক’টি ভোটকেন্দ্রে কাল রাতেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসাররা। ওই সব ভোটকেন্দ্রে আজ নির্বাচন বাতিল করা হয়। |
|
করিমগঞ্জের এক বুথে অপেক্ষায় ভোটদাতারা। ছবি: উত্তম মুহরী |
অনুরূপ ঘটনা ঘটে হাইলাকান্দি জেলার ঘাড়মুড়া এলপি স্কুলে। তবে সেখানে আজ নতুন নির্বাচন সামগ্রীতে ভোটগ্রহণ করা হয়। পুলিশ সুপার ব্রজেন্দ্রজিৎ সিংহ জানান, আনোয়ারপার এলপি স্কুলে ব্যালট পেপার ছিনতাই ঠেকাতে পুলিশকে শূন্যে গুলি চালাতে হয়। এ ছাড়া, টিকরবস্তি স্কুলে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার জলে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। করিমগঞ্জ জেলায় নিলামবাজার থানার সামনে পুলিশি বাড়াবাড়ির অভিযোগে এক দল মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরকে চলে যাওয়ায় শূন্যে গুলি চালা। এই গুলিতে ৬ জন জখম হয়েছেন। দয়াভাসান স্কুলেও পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। |
|
|
|
|
|