|
|
|
|
কপ্টার-দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মনমোহন-সরকারের মুখে এ বার হেলিকপ্টার-দুর্নীতির কালি। অভিযোগ, ঘুষ দিয়ে ভারত সরকারকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা দামের এক ডজন কপ্টার বিক্রি করেছে একটি ইতালীয় সংস্থা। ইতালির পুলিশ আজ সংস্থা-প্রধানকে গ্রেফতার করেছে। তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, কার পকেটে গিয়েছে এই ঘুষের অর্থ, যার পরিমাণ অন্তত ৪০০ কোটি টাকা? প্রবল চাপের মুখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি ঘটনার সিবিআই-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি-র প্রশ্ন, ইতালিতে অনেক আগেই এই হেলিকপ্টার কেনাবেচা নিয়ে তদন্ত শুরু হলেও মনমোহন-সরকার এত দিন হাত গুটিয়ে বসেছিল কেন?
২০১০ সালে ব্রিটেনের অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে ১২টি এ ডব্লিউ-১০১ হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী-সহ ভিভিআইপি-দের যাতায়াতের জন্যই অত্যাধুনিক কপ্টারগুলি কেনার চুক্তি হয়। দাম নির্ধারিত হয় ৫৬০ মিলিয়ন ইউরো বা ৭৩৫ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় টাকায় ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ইতিমধ্যেই তিনটি কপ্টার ভারতীয় বিমানবাহিনীতে যোগও দিয়েছে।
গত অক্টোবরে এই দুর্নীতির গন্ধ পায় ইতালি পুলিশ। অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড যে সংস্থার অধীন, সেই ইতালীয় সংস্থা ফিনমেকানিকা-র প্রধান গিউসেপ্পে ওরসি-র সঙ্গে এক জন দালালের কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া যায়। ওই দালালের সঙ্গে বেশ কিছু ভারতীয়ের কথাবার্তার রেকর্ডও তাদের হাতে রয়েছে বলে ইতালি পুলিশের দাবি। তাদের অভিযোগ, এই কপ্টার বিক্রির চুক্তি পাকা করে দেওয়ার জন্য একটি সুইস-সংস্থাকে ৫.১ কোটি ইউরো ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ মোট চুক্তি-মূল্যের ১০ শতাংশ টাকা ‘কমিশন’ বা ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। যে ঘুষের টাকা হাত ঘুরে মনমোহন-সরকারের মন্ত্রী-আমলাদের পকেটেই এসে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ। ফিনমেকানিকা-র তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনেই চুক্তি হয়েছে। |
|
|
|
|
|