|
|
|
|
কাশ্মীরে আহত ২০ |
সংবেদনশীল হোক বাহিনী, চান ভোরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি |
আফজল গুরুর ফাঁসির পরে জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে পড়ল। আজও জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে চার পুলিশ-সহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এখনও কার্ফুর কবলে রয়েছে গোটা উপত্যকা। এই স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীকে সংবেদনশীল হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল এন এন ভোরা।
আজ বারামূলা জেলার শিরি এলাকায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যের এক মন্ত্রী ও বারামূলা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার। বিক্ষোভকারীরা তাঁদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে। তখনই পুলিশ ও সিআরপি-র সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় জনতার। রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পাশাপাশি শূন্যে গুলিও চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শেখ রশিদ-উল-ইসলাম নামে এক যুবককে প্রচণ্ড মারধর করেন সিআরপি জওয়ানরা। পরে চিকিৎসার জন্য রশিদকে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে শিরিতেই ফের সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের। রবার বুলেটের আঘাতে আহত মুজামিল আহমেদ রাথের, আবিদ আহমেদ ও তারিক আহমেদ নামে আরও তিন যুবক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
শ্রীনগর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আজ বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করে জনতা। প্রায় সব ক্ষেত্রেই সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত কাল রাতে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা শওকত আহমেদ বক্সী।
কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী বেশি কড়া ব্যবস্থা নিলে উত্তেজনা আরও বাড়বে কি না তা নিয়ে প্রশাসনেই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রাজ্যপাল সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল এন এন ভোরা। আফজলের ফাঁসি কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদে উস্কানি দিতে পারে বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
ভোরার মতে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিতে আফজলকে
ফাঁসি দেওয়া জরুরি ছিল ঠিকই।
কিন্তু এখন উপত্যকার পরিস্থিতি সামলাতে দ্বিমুখী ব্যবস্থা নিতে হবে। এক দিকে কাশ্মীরের মানুষের আস্থা জিততে বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। |
|
|
|
|
|