|
|
|
|
হাইজ্যাক হয়েছে দল, মত প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ ছিলই। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজিরও থেকেছেন প্রাক্তন সভাপতি সি পি ঠাকুর। এতদিন তা প্রকাশ না করলেও দলের প্রদেশ কমিটির গঠন নিয়ে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীকে এ বার পরোক্ষে নিশানা করলেন দলের প্রবীণ এই নেতা। তিনি আজ প্রকাশ্যে জানালেন, রাজ্যে বিজেপি দলটাকেই ‘হাইজ্যাক’ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের কোর কমিটির সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই প্রদেশ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বোঝতে চাইলেন সুশীল মোদীর পরামর্শেই এই কাজ হয়েছে।
তিন বছর সভাপতি ছিলেন তিনি। এবার সি পি ঠাকুরের জায়গায় আনা হয়েছে সুশীল মোদীর ঘনিষ্ঠ, তরুণ নেতা মঙ্গল পাণ্ডেকে। নতুন সভাপতি পদে মঙ্গল পাণ্ডের মনোনয়ন পেশের দিন হাজির ছিলেন না প্রাক্তন সভাপতি। এমনকী কারও সঙ্গে ওই দিন তিনি দেখাও করেননি। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত যে তাঁর অনেক ক্ষেত্রেই না-পসন্দ তা ঠারেঠোরে বুঝিয়েও দিয়েছেন। মঙ্গল পাণ্ডে সভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপি-র মধ্যে একটা গুঞ্জন শুরু হয়েছে, সুশীল মোদীর ঘনিষ্ঠ এই নেতা আসলে নীতীশ কুমারের ‘লোক’। নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ সি পি ঠাকুর ভিতর থেকে তাই মঙ্গল পাণ্ডের এই নেতৃত্বকে মানতে পারছেন না। এবার তাই প্রদেশ কমিটির গঠন নিয়ে নাম না করেও পরোক্ষে সুশীল মোদীকে আক্রমণ করলেন তিনি।
প্রদেশ সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে অবশ্য বলেন, “আমি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” তবে দলের অন্দরের কথা, সি পি ঠাকুরের মতো প্রবীণ নেতা প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করে কতটা ঠিক করেছেন তা নিয়ে আলোচনা হবে। কাল বিজেপি-র প্রদেশ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর উপরে আছে রাজ্যের কোর কমিটি। সেখানে আছেন সি পি ঠাকুর এবং সুশীল মোদী-সহ আর চারজন। ২০০ জনের নতুন প্রদেশ কমিটিতে ১০ জন সহ-সভাপতি এবং পাঁচজন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়াও কার্যকরী কমিটিতে আছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এই প্রসঙ্গে সি পি ঠাকুর বলেন, “রাজ্যে ছ’জনের একটি কোর কমিটি আছে। প্রদেশ কমিটি গঠনের আগে কোর কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।” তিনি যে দলের উপরতলায় তাঁর এই অভিযোগকে নিয়ে যেতে চান তা জানিয়ে তিনি বলেন, “দিল্লিতে এই নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহের কাছে আর্জি জানাব। দলের কেন্দ্রীয় কোর কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবিও আমি জানাব।” |
|
|
|
|
|