|
|
|
|
দরজায় দরজায় গিয়ে কর আদায়, উদ্যোগী হচ্ছে রাঁচি পুরসভা |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
উদ্যোগী ছিল দু’তরফই। কিন্তু বাধ সাধছিল পর্যাপ্ত কর্মী আর সময়ের অভাব। শেষে উভয় তরফের আলোচনার মধ্যে দিয়েই বেরিয়ে এল সমস্যা সমাধানের উপায়। এখন কর আদায়ের জন্য আর রাঁচি নগর নিগমকে বাড়ি বাড়ি নোটিশ পাঠিয়ে মাথা কুটতে হবে না। আর নগরবাসীকেও পুর নিগমে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হবে না। বইতে হবে না বকেয়া করের বিপুল বোঝাও।
দিন কয়েক আগেই রাঁচি পুরসভার পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কর আদায়কারী ভ্যান পথে নামানো হয়েছে। উদ্দেশ্য, গাড়িটি পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর আদায় করবে। রাঁচি নগর নিগম (পুরসভা)-এর মেয়র রমা খালকো জানান, কর্মীর অভাবে কর সংগ্রহ দফতরের কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। লোকজন আসতেন। কিন্তু অনেক সময়ই টেবিলে লোক পাওয়া যেত না। তা ছাড়া অনেকেই আছেন, নানান কারণে নগর নিগমে এসে কর জমা দিতে পারেন না। ফলে তাঁরা পুরসভায় টেলিফোন করতেন। |
|
ভ্রাম্যমাণ কর আদায় কেন্দ্র। ছবি: মুন্না কামদা |
কর জমার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলতেন। মেয়র বলেন, “নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান বেরোয়। ঠিক করি কয়েকজন কর-আদায়কারী অফিসার গাড়ি নিয়ে নাগরিকদের বাড়িতে গেলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।”
দীর্ঘদিন ধরে কর আদায়ের কাজ সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় বহু টাকা বকেয়া জমে গিয়েছে। এ বার সেই বকেয়া কর সংগ্রহ করার কাজ ফের শুরু হয়েছে। বিশেষ ওই গাড়ি নিয়ে লোকের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন পুরকর্মীরা। কর আদায়ের জন্য অবশ্য অন্যান্য পুরসভার মতোই অন-লাইন ব্যবস্থাও রয়েছে রাঁচি নগর নিগমে। তবে মেয়র মনে করেন, “আরও দু’টি কারণে এই ধরনের চলমান কর-আদায়কারী ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অনেকে অন-লাইন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নন। অনেকে আছেন যাঁরা বয়স্ক লোকজন। দূরত্বের কারণে নগর নিগমে আসতে পারেন না। ফলে এবার নগর নিগমের গাড়ি তাঁদের বাড়িতে কর নিতে পৌঁছে যাবে।”
গাড়িটি রাঁচি নগর নিগমের অধীনে ৫৫ টি ওয়ার্ডে সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে ঘুরবে। একটি বিশেষ হেল্প লাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে নিগমের পক্ষ থেকে। যে কোনও নাগরিক সেই নম্বরে টেলিফোন করলেই কর আদায় করতে পুর কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যাবেন। হাত বাড়ালেই ‘বন্ধু’, আর হাতে হাতে কর। মেয়রের আশা, এর ফলে বকেয়া করের অনেকটাই তারা তুলে ফেলতে পারবেন। |
|
|
|
|
|