তৃণমূল সমর্থক দুই কর্মচারী সংগঠনের কাজিয়াতে ফের স্থগিত হয়ে গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ক্রীড়া। ১১ ফেব্রুয়ারি ওই খেলা হওয়ার কথা ছিল।
প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীতারাম মুখোপাধ্যায় অনুগামী সারা বাংলা শিক্ষা বন্ধু সমিতি এই ক্রীড়ার দায়িত্ব পায়। তাতে আপত্তি জানায় শৈলকুমার ঘোষের নেতৃত্বাধীন বর্ধমান ইউনির্ভাসিটি কর্মচারী সমিতি। এর জেরে রেজিষ্ট্রার অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রীড়া স্থগিত করে দেন। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই খেলার দিন স্থির হয়। সীতারামবাবুরা ইতিমধ্যে তাঁদের কেনা পুরস্কারও জমা দিয়ে দেন বিশ্ববিদালয়ের ক্রীড়া বিভাগে। পরে মঙ্গলবার পুরস্কারের বিভিন্ন সামগ্রী শৈলবাবুর অনুগামীরা পরীক্ষা করতে গিয়েছেন, এই খবর পেয়ে সীতারামবাবুর লোকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস অফিসার সুরজিৎ নন্দীকে ঘেরাও করেন বলে অভিযোগ। ভয় পেয়ে সুরজিৎবাবু ছুটে যান উপাচার্যের ঘরে। সেখানে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক চলছিল। কর্মসমিতির সদস্যেরা সুরজিৎবাবুকে ঘটনার কথা লিখিত ভাবে জানানোর কথা বলেন। সুরজিৎবাবু বলেন, “যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাব মাঠেও পড়তে পারে। এই আশঙ্কায় আমি লিখিত ভাবেই কর্মচারীদের ক্রীড়া পরিচালনা থেকে অব্যহতি চেয়েছি।”
সীতারাম গোষ্ঠীর নেতা তথা সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি শ্যামদাস বৈরাগ্য বলেন, “আমরা ওই ক্রীড়ার সমস্ত দায়িত্ব স্পোর্টস অফিসারকে দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্মচারীদের অন্য তৃণমূলের ইউনিয়ন স্পোর্টস অফিসারের উপর চাপ সৃষ্টি করে সেই দায়িত্ব নিতে চলেছে। তারা পুরস্কারগুলিকে পরীক্ষা করা ও প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানের লেবেল সাঁটানোর সময় আমরা বাধা দিয়েছি।” তবে শৈলবাবুর অনুগামীদের অন্যতম আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “সীতারাম গোষ্ঠীর গুন্ডাবাজির জন্যেই ওই ক্রীড়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ওরা এ দিন স্পোর্টস অফিসারকে লাঞ্ছনা করেছে। এমনকী তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে উপাচার্যের ঘরে ঢুকিয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “গোলমাল বাধায় আপাতত কর্মচারীদের ক্রীড়া স্থগিত রাখা হয়েছে।” তবে কবে ওই ক্রীড়া হবে, তার দিন তিনি জানাতে পারেননি। |