কটূ মন্তব্যের ধারা যেন অব্যাহত। অন্তত বুধবার কোচবিহারের দিনহাটায় রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার কটাক্ষ ও তার জেরে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা উদয়ন গুহের মন্তব্যের পরে এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এ দিন ফরওয়ার্ড ব্লকের ‘দূর্গ’ বলে পরিচিত দিনহাটার সিতাইয়ে গিয়ে বাম আমলের বীজ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে সরব হন রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। বুধবার সিতাইয়ের সভায় কৃষি প্রতিমন্ত্রী ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক উদয়ন গুহের নাম না করলেও তাঁকেই কটাক্ষ করেছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন। কৃষি প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, “কৃষি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে জানি সমগ্র কৃষি দফতর ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে। আপনাদের এই জেলার নেতা, যিনি মাঝে মধ্যে স্নো পাউডার মেখে টিভির পর্দায় বড় বড় ভাষণ দেন, সেই ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা বীজ কেলেঙ্কারির নায়ক। চাষিদের বীজ সরবরাহ হলেও অঙ্কুর হয়নি। কোটি কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। অপেক্ষা করুন। তদন্ত চলছে।”
পঞ্চায়েত ভোটের বেশি দেরি নেই। ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ, তার আগে মিথ্যে অভিযোগ তুলে পায়ের তলায় মাটি খোঁজার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের নেতারা। উদয়নবাবু বলেন, “উনি তো কৃষি প্রতিমন্ত্রী। আগে ওই দফতর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছিল। তা ২০ মাসেও তদন্ত হল না কেন? নিজেদের ওই ব্যর্থতা ঢাক পিটিয়ে বলার কি মানে জানি না।” পাশাপাশি, উদয়নবাবুর চ্যালেঞ্জ, “বাজার গরম না করে সাহস থাকলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করুন।” এর পরেই ‘স্নো-পাউডার’ মাখা নিয়ে কটাক্ষের জবাব দেন উদয়নবাবু। তাঁর কটাক্ষ, “আমার ওসবের দরকার হয় না।”
এ দিন দু’টি সভায় বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন ও পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সভাস্থলে দুপাশে সিতাই জুনিয়র বেসিক স্কুল ও ভোলাচাত্রা জুনিয়র হাই স্কুল। দুটি স্কুলই প্রথম পিরিয়ডের পর ছুটি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সিতাই জুনিয়র বেসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীণ বর্মন বলেন, “এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ ছুটি দেওয়া হয়। তা ছাড়া আমরাই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিই।” ভোলাচাত্রা জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামিউল আলম অবশ্য বলেন, “আমাদের কাছে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বেসিক স্কুল অনুমতি দেওয়ায় আমরাও একই ছুটি দিই।” |