কম্বল ও লুঙ্গিকে দড়ির মতো ব্যবহার করে ফিল্মি কায়দায় উঁচু পাঁচিল টপকে সংশোধনাগার থেকে পালাল এক বাংলাদেশি বন্দি। বুধবার ইসলামপুরের উপসংশোধনাগারে ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিন বিকেলে বন্দিদের গণনা করার সময় কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন বাংলাদেশি এক বন্দি নেই। তার আগে বন্দি পালানোর বিষয়টি জানতেনই না তাঁরা। খোঁজ নিতে গিয়ে সংশোধনাগারের পিছনের অংশে একটি ২৫ ফুট উঁচু পাঁচিলে কম্বল ছিঁড়ে ও লুঙ্গি পেঁচিয়ে দড়ির মতো করে বাঁধা রয়েছে। দড়ির শেষের দিকে ইট বাঁধা। ওই বাংলাদেশি বন্দির হদিস পায়নি পুলিশ। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পলাতক ওই বন্দির নাম মহম্মদ ইব্রাহিম (২৫)। বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকায়। ২০১২ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসলামপুরের ওই সংশোধনাগারে ছিল সে। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করার সময় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা তাকে ধরে পুলিশে দেয়। খবর পেয়ে সংশোধনাগারে পৌঁছন ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সমনজিৎ সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “ওই বন্দি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ইসলামপুর আদালতে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত মামলা চলছে। এ দিন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। কারও গাফিলতি রয়েছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
পলাতক ওই বন্দিকে খোঁজার জন্য সমস্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, ইসলামপুরের সংশোধনাগারে পুরুষ মহিলা মিলিয়ে এ দিন মোট বন্দি ছিল ১৭৯ জন। তার মধ্যে ৪৪ জন বাংলাদেশি। এদিন ইব্রাহিম সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে সংশোধনাগারের পিছনের ওই উঁচু পাঁচিল টপকে কী ভাবে পালাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশোধনাগারের যে দিকের পাঁচিল টপকে ওই বন্দি পালিয়েছে তার পিছনের অংশ জঞ্জলে ভরা। সেখানে আগে থেকে কেউ তার জন্য অপেক্ষা করছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি উঁচু পাঁচিল টপকাতে অন্য বন্দিদের কেউ তাকে সাহায্য করেছিল কি না সেই প্রশ্নও উঠেছে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “পলাতক ওই বন্দির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” |