গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বসিয়ে পাহাড় সমস্যা মেটানোর পরামর্শ দিলেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। বুধবার তিনি শিলিগুড়ির অনিল বিশ্বাস ভবনে সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে যোগ দেন। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, “পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জিটিএ’র সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠক করা উচিত। জিটিএ’র ক্ষমতার মধ্যেই তপশিলি জাতি, উপজাতিদের কল্যাণের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। তার ভিত্তিতেই রাজ্য সরকারের তরফে থেকে যা বলা হচ্ছে তা নিয়ে জিটিএ’র সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন।” তিনি জানান, পাহাড় নিয়ে আপাতত সিপিএমের কোনও কর্মসূচি নেই।
এ দিন তিনি সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যে কোনও বিষয়েই সমস্যা হলে আমরা সর্বদলীয় বৈঠকের জন্য পরামর্শ দিই। কিন্তু সরকার কোনও বিষয়েই সর্বদলীয় বৈঠক করেন না।” তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, “কোনও বিষয়কে ছোট করে দেখা উচিত নয়। যদিও সেটা ছোট না বড় তা দেখার দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।” শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পাহাড় নিয়ে ১৯৮৮ থেকে কী ভূমিকা ছিল বামেদের? অশোকবাবু মাঝে মধ্যে নেপালী ভাষায় কথা বলতেন। ওনারা যত কম কথা বলবেন ততই ভাল। কোনও সমস্যা হলে সমাধান আছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন।”
২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ১১টি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বন্ধ ডাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস যাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ করতে পারে সেদিকে ভেবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁরা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন।”
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অশোক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিমল গুরুঙ্গের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে সিপিএম যোগ দেবে না। |