বছর দু’য়েক আগে ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বাণিজ্য চালু হওয়ার পর থেকে কেবল পাথর ওপারে রফতানি করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ওপার থেকে তুলো, পাট, ঠান্ডা পানীয়, ব্যাটারির সরঞ্জামের মতো হাতে গোনা দু’তিনটি পণ্য আমদানি করার সুযোগ রয়েছে। ওই তালিকা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন রফতানিকারকেরা। বুধবার ফুলবাড়ি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে অত্যাধুনিক ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এ দিন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে এই সীমান্ত বাণিজ্য পথে তৈরি পরিকাঠামোটি শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছিলেন শুল্ক দফতরের কমিশনার ডি টি শেরপা-সহ অনেকেই। |
উদ্বোধনে শিল্পমন্ত্রী। ছবি: সন্দীপ পাল। |
শিল্পমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে কলকাতায় তাঁর কয়েকবার কথা হয়েছিল। ওই দেশের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গেও একবার কথা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে তাঁত বস্ত্র, যন্ত্রাংশ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ জাত পণ্য আমদানি-রফতানি বিষয়ে আলোচনা হয়। এই পথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। নেপাল, ভুটানের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হলেও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু হয়নি। সীমান্ত বাণিজ্যের কাজ দ্রুত করতে তা চালু করতে পরামর্শ দেন পার্থবাবু। ফুলবাড়ি এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়শন জানায় অন্তত ২০টি পণ্য রফতানির ছাড়পত্র দিতে তাঁরা আবেদন করেছেন।
শুধু পণ্য নয় এই সীমান্ত পথে বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধাও দাবি করেছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে ওই সীমান্তে ‘ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট’ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, এই সীমান্ত পথ ভবিষ্যতে অন্যতম বহির্বাণিজ্যের কেন্দ্র হতে চলেছে। উভয় দেশের নাগরিকরা এখন এই পথে যাতায়াত করতে এখন পারেন না। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর বাসিন্দা উত্তরবঙ্গে আসেন। তাদের বর্তমানে চ্যাংরাবান্ধা হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই পথে সেই সুযোগ মিললে তা বাণিজ্য এবং উন্নয়নের সহায়ক হবে। |