|
|
|
|
অমিতের পর সুব্রত, টাকার জন্য নিরন্তর দরবার ভোটের মুখে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামাঞ্চলে উন্নয়নের কাজ চালু রাখতে হবে রাজ্যে। আর তার জন্য চাই টাকা। গত কালই তাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে এক দফা দরবার করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আর আজ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশের কাছে দরবার করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত ও পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির জন্য সড়ক থেকে ১০০ দিনের কাজ এই ধরনের একাধিক গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য দ্রুত অর্থ মঞ্জুর করার অনুরোধ করলেন তিনি।
একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে পাইলট পর্যায়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বায়োমেট্রিক কার্ড চালু করার আবেদন জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। রাজ্যের প্রস্তাব মেনে নিয়ে জয়রাম রমেশ আজ সন্ধ্যায় সুব্রতবাবুকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, নীতিগত ভাবে রাজ্যের প্রস্তাবে কোনও আপত্তি নেই কেন্দ্রের। কিন্তু ওই কার্ড চালু করার বিষয়ে কিছু শর্ত রয়েছে কেন্দ্রের। তার অন্যতমটি হল, আধার কার্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওই বায়োমেট্রিক কার্ড চালু করতে হবে। জয়রামের কথায়, “পাশাপাশি যে যন্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, তা আধার কর্তৃপক্ষের ঘোষিত মানের সমান হতে হবে।” পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ওই প্রকল্প চালু করার জন্য রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতরের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা সেরে ফেলতে পরামর্শ দিয়েছেন জয়রাম।
তবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও মনে করছে পশ্চিমবঙ্গে এই পাইলট প্রকল্প শুরু হলে এর ফায়দা নিতে পারবে গোটা দেশই। মন্ত্রক মনে করছে, ওই প্রকল্প থেকে যে ত্রুটিগুলি উঠে আসছে তা পরবর্তী সময়ে গোটা দেশে ওই প্রকল্প রূপায়ণের আগে শুধরে নেওয়া সম্ভব হবে। |
|
এ ছাড়া এর মাধ্যমে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে যে ভুয়ো নামগুলি রয়েছে, সেগুলি ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জয়রাম। তবে ওই পাইলট প্রকল্পের জন্য ১২০ কোটি টাকার জন্য দাবি জানালেও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে আপাতত পাঁচ কোটি টাকার বেশি দেওয়া যাবে না রাজ্যকে। পাশাপাশি গত আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যের ৭২০ কোটি কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন সুব্রতবাবু। সেই অর্থের বিষয়ে অবশ্য এ দিন কোনও স্পষ্ট আশ্বাস দেননি জয়রাম। আজ রাজ্যর পক্ষ থেকে আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো মাওবাদী অধুষ্যিত জেলাগুলিতে আরও দু’হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয় কেন্দ্রকে। ১৫টি জেলায় ৪ হাজার কিলোমিটার সড়ক প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় আনার আর্জিও জানিয়েছে রাজ্য। কেন্দ্র রাজ্যকে ওই প্রকল্পগুলির বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। |
|
|
|
|
|