শিক্ষিকাকে নিগ্রহের নালিশ |
স্কুলের মধ্যেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ তুললেন এক সহ শিক্ষিকা। মঙ্গলবার সাঁতুড়ির রাঙাডাঙা হাইস্কুলের ঘটনার জেরে বুধবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়ে কয়েকটি ক্লাস বয়কট করে পড়ুয়ারা। করবী রায় নামের ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, “শারীরিক সমস্যার কারণে এক সহ-শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের কাছে আগামী কয়েক দিন তাঁকে স্কুল শেষের কিছুটা আগে ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এ নিয়ে গোলমাল করায় আমি প্রতিবাদ জানাই। তখন প্রধান শিক্ষক আমাকে গালিগালাজ করে একটি খাতা দিয়ে মারতে থাকেন ও ঠেলে ফেলে দেন।” প্রধান শিক্ষক জয় চট্টোপাধ্যায় এ দিন স্কুলে আসেননি। তাঁর দাবি, “ওই শিক্ষিকাকে আমি ‘মেডিক্যাল সার্টিফিকেট’ দিয়ে আবেদন করতে বলেছিলাম। করবীদেবী হঠাৎ সেখানে এসে স্কুল পরিচালনা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। কিছুটা বাদানুবাদ হয়। মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।”
|
ভূমিহীন খেতমজুরেরা তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, এই অভিযোগে বুধবার বিডিও-কে (ঝালদা ২ ব্লক) স্মারকলিপি দিল ‘সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন’। সংগঠনের পক্ষে রঞ্জিত মাহাতো, কিঙ্কর কুমার জানান, খেতমজুরদের জন্য সরকারের একটি সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পে মাসে খেতমজুর কুড়ি টাকা করে দেন, সরকারের পক্ষ থেকেও সম পরিমাণ অর্থ তাঁর নামে জমা পড়ে। পঞ্চাশ বছর বয়স হলে সংশ্লিষ্ট খেতমজুর ওই অর্থ ফেরত পান। সংগঠনের অভিযোগ, এই ব্লকের হিরাপুর-আদারডি অঞ্চলের এ রকম ৫০ জন খেতমজুর বেশ কিছুদিন ধরে দাবি জানিয়েও তাঁদের প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
|
পুনরায় বাস চালু করার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মানবাজারের বারমেশিয়া রামনগর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে অনশনে বসলেন বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে রঞ্জিত রায়, সাধন রায় প্রশান্ত মুর্মুর অভিযোগ, “আগে স্থানীয় বুধপুর-সহ আশপাশের গ্রাম দিয়ে বহু বাস চলত। কিন্তু পায়রাচালিতে কংসাবতী সেতু হওয়ায় এখন এই এলাকা দিয়ে বাস চলাচল করে না। ফলে আমরা সমস্যায় পড়েছি।’’ মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব, মহকুমাশাসক (সদর) সৌম্যজিত দেবনাথ তাঁদের সঙ্গে দেখা করে আশ্বাস দেওয়ার পরে অনশন ওঠে।
|
এক প্রতিবন্ধী শিক্ষককে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির চড় মারার অভিযোগকে ‘সাজানো’ দাবি করে বুধবার বাঁকুড়া শহরে মিছিল ও সভা করল তৃণমূল শিক্ষাসেল। সঙ্গে ছিল কয়েকটি ডানপন্থী শিক্ষক সংগঠনও। সোমবার বাঁকুড়া প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ওই ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন এবং তার পাল্টা তৃণমূল শিক্ষা সেল সে দিনই মিছিল করেছিল। |