ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ধৃত ভূমি দফতরের কর্তার ১৪ দিনের জেল হাজত হল। প্রশাসনের দাবি, রঘুনাথপুরের মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক দুলাল দাসকে মঙ্গলবার এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার সময় ধরা হয়। বুধবার রঘুনাথপুর আদালতে তাঁকে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। দুলালবাবুর দাবি চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।দুলালবাবুর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রঘুনাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক প্রণব বিশ্বাস। প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, রঘুনাথপুরে একটি বহুতল নির্মাণ করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু জমির শ্রেণি চরিত্র পরিবর্তন না করায় নির্মাণ আটকে দেন দুলালবাবু। মহকুমাশাসকের (রঘুনাথপুর) দাবি, “জমির শ্রেণি চরিত্র পরিবর্তন করে দেওয়ার বিনিময়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছে দুলালবাবু এক লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন বলে ব্যবসায়ীর স্ত্রী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। দুলালবাবুর সঙ্গে তাঁর এ ব্যাপারে মোবাইলে কথোপকথন ভয়েস রেকর্ডও দিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার দুই ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট সাদা পোশাকের এক পুলিশ কর্মীকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে তাঁকে ধরেন।” তিনি জানান, ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী যে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে কয়েকটি টাকার উপর মহকুমাশাসক স্বাক্ষর করে দিয়েছিলেন। আদালতে সেই নোট প্রামাণ্য নথি হিসাবে পেশ করতে চায় প্রশাসন। দুলালবাবু এ দিন দাবি করেছেন, “প্রশাসনের একাংশ চক্রান্ত করে আমাকে মিথ্যা ঘটনায় ফাঁসিয়েছে। ওই ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে তাঁর জমির শ্রেণি চরিত্র বদল করানোর জন্য আমাকে টাকা দিতে এসেছিলেন। আমি টাকা নিইনি।” মঙ্গলবার রাতেই রঘুনাথপুরে ঘটনার তদন্তে আসেন ডিএসপি (ডিআইবি) মহম্মদ আজিম। পুরুলিয়ার জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক দিলীপ ঘোষ বলেন, “ঘটনার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |