|
|
|
|
মাদ্রাসার প্যানেলে ২৮২, নিয়োগপত্র নেই ২১ মাস |
অনল আবেদিন • বহরমপুর |
সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ‘কল্পতরু’ হয়ে তো উঠেছেনই। সেই সঙ্গে দাবি, ইতিমধ্যেই সরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত তিন লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীর।
তবে সেই তালিকায় নেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্যানেলভুক্ত বিভিন্ন জেলার ২৮২ জন চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষায় পাশ করেও গত ২১ মাস ধরে নিয়োগপত্রের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
ঘটনাচক্রে, ওই দফতরের মাথায় রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাদ্রাসার গ্রন্থগারিক ও করণিক পদের চাকরির পরীক্ষা হয়েছে ২১ মাস আগে। কাকে কোন মাদ্রাসায় নিয়োগ করা হবে সে ব্যাপারে ‘কাউন্সেলিং’ পর্বও শেষ। কিন্তু এখনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৮২ জনের কেউই নিয়োগপত্র পাননি। কেন?
সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার কাছে কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। তাঁর নির্বিকার জবাব: “নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।” রাজ্য জুড়ে মাদ্রাসার ৮৯টি গ্রন্থগারিক এবং ১৯৩টি করণিক মিলিয়ে মোট ২৮২টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ২০১০-এর এপ্রিলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালের ২৯ মে লিখিত পরীক্ষা হয়। উত্তীর্ণদের কম্পিউটার সংক্রান্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ায় হয় গত বছর মার্চে । ৭ মে প্যানেলও প্রকাশ করে সরকার। ওই মাসের ২৭ তারিখ থেকে দু-দিনের কাউন্সেলিং পর্বও শেষ। কিন্তু তার পরে আর নিয়োগপত্রের দেখা নেই।
কাজেই মন্ত্রীর আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না বেশির ভাগ চাকরিপ্রার্থী। বিশ্বজিৎ রায় নামে তেমনই এক প্রার্থী বলেন, “নিয়োগপত্রের জন্য দেখা করেছিলাম সংখ্যলঘু দফতরের তৎকালীন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবের কাছে যে কত বার গিয়েছি তার কোনও হিসেব নেই। আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি।”
তাঁর আক্ষেপ, ‘‘কাকে কোন মাদ্রাসায় নিয়োগ করা হবে তা কাউন্সেলিং-এর পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। দিন দশেকের মধ্যেই হাতে নিয়োগপত্র চলে আসবে বলেও আশ্বাস ছিল। কিন্তু কোথায় কী?” মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির রাজ্য কমিটির নিবার্হী সভাপতি নুরে খোদা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বেশ কয়েক বার লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু সাড়া দিচ্ছেন কোথায়!”
তিন লক্ষের তালিকায় ২৮২ জনের নাম কবে ঢুকবে কেউ জানে না! |
|
|
|
|
|