টুকরো খবর |
তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রাম ব্লকের দুধকুণ্ডি অঞ্চলের ৯টি গ্রামের যুব তৃণমূলের শ’খানেক কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিলেন। বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের বালিভাসায় কংগ্রেসের দলীয় এক সভায় অমল সিংহ, দীপক মাহাতো, বিনয় মাহাতো, রঞ্জিত মাহাতো, হারাধন মাহাতো-সহ কয়েকশো যুবক নিজেদের যুব-তৃণমূল কর্মী দাবি করে সংগঠন ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। অমলবাবুদের দাবি, এলাকার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা, শাসক দলের নীতিহীনতা ও দুর্নীতির কারণে বীতশ্রদ্ধ হয়েই এই সিদ্ধান্ত। তাঁদের হাতে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গি, মহকুমা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ মাহাতো, ঝাড়গ্রামের যুব কংগ্রেস নেতা তাপস মাহাতো প্রমুখ। ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অনিল শিকারিয়া। সভা শেষে এলাকায় মিছিল করা হয়। ঝাড়গ্রাম মহকুমা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ মাহাতো বলেন, “সিপিএমের দেখানো পথেই হাঁটছে শাসক তৃণমূলের সরকার। জঙ্গলমহলের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষায় জল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মোহমুক্তি ঘটছে। এটা তারই প্রতিফলন।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষের দাবি, “আমাদের দলের বা যুব সংগঠনের কেউই কংগ্রেসে যোগ দেয়নি। পুরোটাই কংগ্রেসের অপপ্রচার। হার্মাদ ও জনগণের কমিটির প্রাক্তন কিছু লোকজন আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়েছিল। আমরা রাজি হইনি। সেই লোকগুলিই এখন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে।” ‘কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদে’ বৃহস্পতিবার বালিভাসায় তৃণমূলের তরফে মিছিল করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্মলবাবু।
|
ঝাড়গ্রামে হোম নিয়ে বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্বারা পরিচালিত হোমগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন রাজ্য সরকার নিযুক্ত ‘স্টেট লেভেল ইনস্পেকশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি’র চেয়ারম্যান অশোকেন্দু সেনগুপ্ত। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের ইনস্পেকশন বাংলোয় আয়োজিত ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলার ৯টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছিলেন জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক নীহার সামন্ত। জেলার ওই ৯টি হোমের পরিকাঠামো ব্যবস্থা, আবাসিকদের খাওয়া দাওয়ার মান, পড়াশুনার অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করেন অশোকেন্দুবাবু। মাসখানেক আগে জেলার হোমগুলি পরিদর্শন করেছিলেন অশোকেন্দুবাবু। এক মাসে হোমগুলির কাজের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে এ দিন ওই বৈঠক করেন অশোকেন্দুবাবু। রাজ্য সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত বেসরকারি হোমগুলির অধিকাংশেরই বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। হোমগুলির পাল্টা অভিযোগ, প্রতি মাসে আবাসিক পিছু মাত্র এগারোশো টাকা অনুদান দেয় রাজ্য সমাজকল্যাণ বিভাগ। ওই টাকায় এক জন আবাসিকের খাওয়া-দাওয়া, পোশাক পরিচ্ছদ-সহ যাবতীয় সংস্থান করা অসম্ভব। এর মধ্যে গত সাত মাস যাবৎ হোমগুলিকে অনুদানের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ দিন অশোকেন্দুবাবুর কাছে আবাসিক পিছু মাসিক অনুদান বরাদ্দ বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করার দাবি জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার আশ্বাস দেন অশোকেন্দুবাবু।
|
জমজমাট গাঁধী স্মৃতি মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
জমে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঐতিহ্যমণ্ডিত গাঁধী স্মৃতি প্রদর্শনী ও মেলা। দারুয়া জনকল্যাণ সঙ্ঘের পরিচালনায় প্রদশর্নী ও মেলার এ বার ৮৬তম বর্ষ। মেলা কমিটির সম্পাদক হেরম্বকুমার দাসের কথায়, “১৯২৫ সালের ৫ জুলাই মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী দারুয়া ময়দানে এসে সমাবেশ করেছিলেন। তাঁর সেই শুভাগমন স্মরণে ও পরবর্তী প্রজন্মকে গাঁধী ভাবাদর্শ ও কর্মধারায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জননেতা সুধীরচন্দ্র দাস ১৯২৬ সালে স্থানীয় মানুষদের নিয়ে এই স্মৃতি প্রদর্শনীর ও মেলার আয়োজন করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “চলতি বছরেই গাঁধী স্মৃতি প্রদর্শনীকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও আগামী বছরে ‘গাঁধী ও সমকালীন কাঁথির স্বাধীনতা আন্দোলন’ বিষয়ক এক আর্কাইভ বা সংগ্রহশালা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” |
|
জমে উঠেছে গাঁধী স্মৃতি মেলা |
মেলা ও প্রদর্শনী ঘিরে মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। গাঁধী ও স্বামী বিবেকানন্দ বিষয়ক স্টল ছাড়াও রয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, জেলা পরিষদ, ডিআরডিসি-সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে প্রদশর্নী স্টল ও প্যাভিলিয়ন। সেখানে প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলোচনাসভা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আছে হাল ফ্যাশনের রকমারি গৃহস্থালি জিনিসপত্র থেকে মোটর গাড়ি, রূপচর্চার সামগ্রী থেকে মাল্টিজিম, তেলেভাজা থেকে ফাস্টফুড। বিনোদনের জন্য রয়েছে মরণকুয়ো, নাগরদোলা, সার্কাস ও টয়ট্রেন।
|
ভুয়ো আর্থিক সংস্থা নিয়ে ক্ষোভ এগরায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
ব্যাঙের ছাতার মতো ইতস্তত গজিয়ে ওঠা স্বল্পপুঁজির আর্থিক সংস্থার একাংশের কাজকর্ম নিয়ে সারা রাজ্যের মতোই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এগরা শহরে। সম্প্রতি এই আর্থিক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সংস্থাগুলির নথিপত্র যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তৎপর হয়েছে পুরসভাও। এগরার পুরপ্রধান স্বপনকুমার নায়ক জানান, “অতীতে একই ভাবে একাধিক সংস্থার কাছে মানুষ আর্থিক ভাবে প্রতারিত হয়েছেন। নানা প্রলোভন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আমানতকারী সেই টাকা ফেরৎ নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “এগরা শহরে এই রকম ৪৮টি সংস্থাকে আমরা চিহ্নিত করে, বৈঠকে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছি। কিছু সংস্থা ট্রেড লাইসেন্সও নেয়নি, কেউ বা পুনর্নবীকরণ করেনি। তাঁদের সকলকে নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। জনগনকে সতর্ক করতে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সহযোগিতায় মাইকে প্রচারও চলছে।”
|
বিদ্যাসাগরের শিক্ষক সম্মানিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভারতেজ্যোতি পুরস্কার পাচ্ছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অমলকুমার মণ্ডল। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে অমলবাবুকে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ‘ইকোনমিক গ্রোথ অ্যান্ড ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন’ শিরোনামে এক সেমিনার শেষে অমলবাবুর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অমলবাবু। পুরস্কারের খবরে স্বভাবতই খুশি। তাঁর কথায়, “কাজের স্বীকৃতি পেলে ভাল তো লাগবেই। আরও ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা পাব।”
|
প্রয়াত বলাইসখা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
প্রয়াত হলেন হলদিয়া ‘নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটির’ প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলাইসখা ভৌমিক (৮৬)। বুধবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তেঁতুলবেড়িয়ার বাড়িতে মারা যান বিশিষ্ট এই নাট্যব্যক্তিত্ব। পুরভবনে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হলে পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ, তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডল-সহ অন্য কাউন্সিলররা শেষ শ্রদ্ধা জানান। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে মাল্যদান করেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। দুপুরে তেঁতুলবেড়িয়ায় স্ত্রী-র শহিদবেদির কাছেই তাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয়।
|
ধৃত সিপিএম কর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাস্কেট-সহ সিপিএমের এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত অরুণ সাঁতরার বাড়ি গড়বেতার চাঁদাবিলায়। ধৃতকে বুধবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অরুণবাবু এক সময় এলাকাছাড়া ছিলেন। পরে বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। তখন তিনি মাস্কেট নিয়ে ভয় দেখান বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৬ রাউন্ড গুলিও। |
|