|
|
|
|
কংগ্রেসের পদে ইস্তফা শম্ভুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শম্ভু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার জেলা কংগ্রেসের বৈঠকেই ইস্তফা দেন তিনি। তবে দলের কর্মী হিসাবে কংগ্রেসেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন শম্ভুবাবু। তিনি মেদিনীপুর পুরসভার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলরও।
কেন এই ইস্তফা? দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সহ-সভাপতির পদে থাকলেও জেলায় দলের কর্মসিূচতে তেমন একটা গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না তিনি। কংগ্রেস-তৃণমূলের জোটে তৈরি মেদিনীপুর পুরসভায় প্রথমে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু আড়াই বছরের মাথায় তাঁকে সরিয়ে দিয়ে কংগ্রেস এরশাদ আলিকে ভাইস চেয়ারম্যান করেন। দলীয় সূত্রে খবর, পুর-বোর্ডের মেয়াদ শেষের দিকেও একবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে থাকার ইচ্ছে ছিল শম্ভুবাবুর। কিন্তু কয়েকজন কংগ্রেস নেতার বাধায় সেই সুযোগ মিলছে না। এই কারণেই ইস্তফা বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও শম্ভুবাবু বলেন, “আমি শারীরিক কারণে দলের পদ ছাড়ছি। তবে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে আগের মতোই কাজ করে যাব। দল যদি রাস্তায় পোস্টার সাঁটাতে বলে, কোনও মিটিংয়ে বক্তৃতা দিতে বলে যাব। শুধু পদে থাকতে পারছি না।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবের বক্তব্য, “কংগ্রেস এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। গ্রামে গ্রামে সংগঠন চাঙ্গা হচ্ছে। শম্ভুবাবু দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমন সময় উনি এমন কাজ করবেন না যা দলের ক্ষতি হবে। হয়তো কোনও অভিমান থেকে উনি ইস্তফা দিয়েছেন। আশা করি সমস্যা যাবে।”
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের বৈঠক ডাকা হয়েছিল মেদিনীপুর শহরের কংগ্রেস ভবনে। জেলা সভাপতির নির্দেশে এই বৈঠক ডেকেছিলেন শম্ভুবাবুই। তখনও জেলা সভাপতি উপস্থিত হননি। বেশ কয়েকজন জেলা কমিটির সদস্য অবশ্য উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁদের সামনেই ইস্তফার কথা ঘোষণা করে, ইস্তফাপত্রটি টেবিলে রেখে কংগ্রেস ভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান শম্ভুবাবু। দলীয় নেতারা তাঁকে বুঝিয়ে আটকে রাখার চেষ্টাও করেন। জেলা সভাপতি আসার পরেই ক্ষোভ, অভিমান বা অভিযোগের বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান। যদিও শম্ভুবাবু তাতে রাজি হননি। |
|
|
|
|
|