ডার্বির আর বাকি ৪৮ ঘণ্টা। কী ভাবছেন ইস্টবেঙ্গলের গোল মেশিন এডে চিডি?
আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাৎকারে যা বললেন... |
প্র: টোলগে-ওডাফা ফেরায় মোহনবাগান আগের চেয়ে শক্তিশালী। আপনি কী বলছেন? তার উপর ইস্টবেঙ্গলের তো এক নম্বর জায়গাটা ধরে রাখারও চাপ রয়েছে!
চিডি: এটা ঠিক যে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকতে হলে মোহনবাগান ম্যাচটা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ থেকে আমাদের তিন পয়েন্ট চাই-ই। এর জন্য আমাদের ওপর যেমন একটা চাপ রয়েছে তেমনই মোহনবাগানের ওপর আবার চাপ থাকবে অবনমন বাঁচানোর। এটা ভুলে যাচ্ছেন কেন!
প্র: আর ওডাফা-টোলগে জুটি?
চিডি: টোলগে ফিরে আসায় নিঃসন্দেহে ওদের শক্তি বেড়েছে। তা বলে আমাদের পিছিয়ে রাখলেও ভুল করা হবে। আমরাও যথেষ্ট শক্তিশালী। আর চ্যাম্পিয়ানশিপের লড়াইয়ে রয়েছি বলে প্রত্যেকেই তেতে রয়েছে।
প্র: আপনার সঙ্গী কে হবেন তা নিয়ে এখনও দ্বিধায় মর্গ্যান। সঙ্গী নিয়ে কি আপনিও চিন্তায়?
চিডি: ডার্বিতে মননদীপের না থাকাটা আমাদের কাছে বড় ক্ষতি। তবে রবিন, বলজিত, বরিসিচরা তো রয়েছে। যেই খেলুক না কেন, আমাকে তার সঙ্গেই মানিয়ে নিয়ে নিজের সেরাটা দিতে হবে। গোল করে দলকে জেতাতে হবে।
প্র: মর্গ্যান যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে কার সঙ্গে জুটি বাঁধতে আগ্রহী, তখন কার নাম বলবেন?
চিডি: আমি কেন বলব! এটা তো কোচ ঠিক করবে। প্রত্যেকেই ভাল ফুটবলার। ট্রেভর আমাকে যে ভাবে খেলতে বলবেন, যাঁর সঙ্গে বলবেন আমাকে সে ভাবেই খেলতে হবে।
|
প্র: বরিসিচের খেলা কেমন লাগছে? ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে তো গোলও করলেন!
চিডি: ও ভাল ফুটবলার। আরও একটু সময় দিলে আরও ভাল খেলবে। সবারই তো নতুন দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে।
প্র: ময়দান বলছে এ বার ডার্বিতে লড়াইটা নাকি ওডাফা-টোলগে বনাম এডে চিডির?
চিডি: (হেসে উঠে) আরে করিম তো তবে সবাইকে বাদ দিয়ে দিনরাত আমার কথাই ভাবছেন! (এর পরেই সিরিয়াস) মজা করছিলাম! লড়াইটা কারও একার নয়। এগারো জনের বিরুদ্ধে এগারো জনের লড়াই।
প্র: ৯ ডিসেম্বরের কলঙ্কিত ডার্বির প্রভাব কি এ বার পড়বে?
চিডি: সত্যি কথা বলতে কী, ৯ ডিসেম্বরের পুরো ঘটনাটার জন্য রেফারি দায়ী ছিলেন। এত ঝামেলা শুধু মাত্র রেফারির কিছু সিদ্ধান্তের জন্যই হয়েছিল। সে দিনের ঘটনা দেখার পর থেকে আমার মনে হয়, ডার্বি ম্যাচের জন্য বিদেশি রেফারির দরকার। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। তাই প্রার্থনা করব , এ বার যে রেফারি-ই ম্যাচ পরিচালনা করুন না কেন, নির্বিঘ্নে যেন সবাই পুরো ম্যাচটা উপভোগ করতে পারে। রেফারির জন্য যেন ম্যাচ আর ভণ্ডুল না হয়ে যায়। এটা কখনওই কাম্য নয়।
প্র: ডার্বি মানেই মোহনবাগানের পাঁচ গোলের রেকর্ডের কথা মনে পড়ে যায়। সবুজ-মেরুন জার্সিতে সে দিন আপনি নায়ক ছিলেন। এ বার অবশ্য আপনি লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকদের একমাত্র ভরসা। নিজের লক্ষ্যটা কী?
চিডি: পাঁচ গোলের ম্যাচটা অতীত। আমি এখন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার। আর আমার কাছে সদস্য-সমর্থকদের যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটা পূরণ করতে আমিও মুখিয়ে আছি। মোহনবাগানকে হারাতে পারলে আমরা আই লিগের পরের ম্যাচগুলোর জন্যও মানসিক ভাবে অনেকটা এগিয়ে যাব। |