শব্দবিধি মানতে নির্দেশ পুর-বৈঠকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কলেজ মোড়ের সরস্বতী পুজোয় শব্দ-তাণ্ডব এড়াতে আগাম পদক্ষেপ করল পুলিশ-প্রশাসন। বুধবার এক বৈঠকে উদ্যোক্তাদের স্পষ্ট জানানো হল, শব্দবিধি না মানলে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাত দশটার পর মাইক বাজানো যাবে না। অন্য সময় শব্দসীমা যেন ৬৫ ডেসিমেলের বেশি না হয়। এমন জায়গায় সাউন্ড বক্স রাখা যাবে না যাতে পথচলতি মানুষের সমস্যা হয়।
বৈঠক শেষে মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত বলেন, “পুজো উদ্যোক্তাদের সকলেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। শব্দবিধি মেনেই পুজো করবেন বলে জানিয়েছেন।” গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে পুজো কমিটিগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গড়া হয়েছে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো। পরের দিন, অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে উরস উৎসব শুরু। দুই উৎসব নির্বিঘ্নে করতেই বুধবার মেদিনীপুর পুরসভার সভাকক্ষে এক বৈঠক হয়। মহকুমাশাসক ছাড়াও ছিলেন উপ- পুরপ্রধান এরশাদ আলি, পুলিশ-দমকলের আধিকারিকেরা। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল কলেজ মোড়ের পুজো উদ্যোক্তাদেরও। সরস্বতী পুজোর সময় কলেজ মোড় বরাবরই আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। পুজোর সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে রাজনীতি। চলে রাজনীতির আকচাআকচিতে একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই। শুধু শহরের মানুষই নন, আশপাশ এলাকার বহু মানুষ এখানে আসেন। সকাল থেকেই দর্শকদের ঢল নামতে শুরু করে। কোথাও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘নিয়ন্ত্রণে’ পুজো হয়। কোথাও বা ছাত্র পরিষদ, এসএফআই কিংবা এভিবিপি’র ‘নিয়ন্ত্রণে’। তবে পুজো দেখতে এসে মানুষ চরম সমস্যায় পড়েন।
সব মিলিয়ে প্রায় ২০টি পুজো হয়। থাকে ১০০ টিরও বেশি সাউন্ড বক্স। মহকুমাশাসক বলেন, “পুজো আনন্দের। কাউকে সমস্যায় ফেলে আনন্দ করা উচিত নয়। পুজোর সময় নির্দিষ্ট বিধি মেনেই মাইক বাজাতে হবে। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি থাকবে। শব্দবিধি নিয়ে কোনও অভিযোগ এলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |