টেন্ডার বহির্ভূত ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল পূর্ত দফতরের এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। বুধবার দাসপুরের রানাপুরে শতাধিক কাটা গাছ আটক করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। আসে পুলিশ। পরিস্থিতি দেখে গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের আটকে রাখা গাছগুলি রানাপুরেই পড়ে রয়েছে। পূর্ত দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড (বিআরজিএফ) প্রকল্পে সম্প্রতি ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কটি (৩৩ কিলোমিটার) সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য পিচ রাস্তার দু’ধারেই ৯ ফুট দূরত্বের গাছ কাটা হচ্ছে। ওই দূরত্বে থাকা দু’ধারের অবৈধ বাড়ি, দোকানঘরও প্রয়োজনে ভেঙে দেওয়া হবে। গাছ কাটার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছিলেন চন্দ্রকোনা রোডের ব্যবসায়ী পীযূষ ঘোষ। জানুয়ারি মাস থেকে গাছা কাটা শুরু হয়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওয়ার্ক অর্ডারে ৯ ফুট দূরত্বের কথা থাকলেও ঠিকাদার ১০ ফুট আবার কোথাও ১২ ফুটের বেশি দূরত্বের গাছও কাটছেন। পূর্ত দফতরের এক শ্রেণির অফিসারদের যোগসাজশে রাতে পাচার করা হচ্ছে বেআইনি ভাবে কাটা আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস, শিশু, শিরিষ, মেহগনির মতো নানা মূল্যবান গাছ। অভিযুক্ত ঠিকাদার পীযূষ ঘোষ অবশ্য বলেন, “নিয়ম মেনেই আমি গাছ কেটেছি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” জেলার পূর্ত দফতরের (সড়ক) নিবার্হী বাস্তুকার অশোক মণ্ডল বলেন, “কী কী গাছ কাটতে হবে, তা চিহ্নিত করে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও যদি কোনও অভিযোগ ওঠে তা তদন্ত করে দেখা হবে।” ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “অভিযোগ আসার পরই পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।” |