|
|
|
|
অস্বস্তি এড়াতে কৌঁসুলিদের কথায় গুরুত্ব দিতে নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সরকারি আইনজীবীদের মতামতকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে সোমবার সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেন রোহিনটন নরিম্যান। আইন মন্ত্রক সূত্রের খবর, আইনমন্ত্রীর সঙ্গেই তাঁর মতবিরোধ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাই আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই ধরনের অভিযোগগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। রোহিনটন একা নন। গত নভেম্বরে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে অবসর নেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তার পরেই নিজের লেখা বইয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বিশ্বজিৎবাবুর অভিযোগ আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে নরিম্যানের ইস্তফার পরে।
বিশ্বজিৎবাবু জানান, ইচ্ছে করে সুপ্রিম কোর্টে কর্পোরেট সংস্থার বিরুদ্ধে মামলায় হেরে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। নিশ্চিত জেতা মামলা প্লেটে সাজিয়ে বিপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বইতে তাঁর দাবি, পরোক্ষ কর সংক্রান্ত মামলায় সরকারের হয়ে সওয়াল করার জন্যই তাঁকে নিয়োগ করেছিল আইন মন্ত্রক। কিন্তু প্রায়শই আয়কর সংক্রান্ত মামলা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তাঁর উপরে। সরকারের তরফে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনও ইচ্ছে করে দেরিতে জমা দেওয়া হত, যাতে আদালত সেগুলো খারিজ করে দেয়। তিনি লিখেছেন, “সাড়ে দশটায় কোর্টে মামলা উঠবে, তার এক মিনিট আগে মামলার কাগজ হাতে পেয়েছি। আবার, একটা মামলা লড়ার জন্য ৫০ ঘণ্টা ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর, শেষ মুহূর্তে সেটা অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার মনমোহন সরকার বিশ্বজিৎবাবুর এই অভিযোগে অস্বস্তিতে পড়েছে। এর আগে সরকারের সঙ্গে মতান্তরের জেরে গোপাল সুব্রহ্মণ্যমও সলিসিটর জেনারেলের পদ ছেড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের বক্তব্য, বারবার যদি সরকারের সঙ্গে সরকারি আইনজীবীদের সংঘাত বাধে, তা হলে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা তো বটেই, আমজনতার কাছে ভুল বার্তা যাবে। |
|
|
|
|
|