|
|
|
|
বাজেট অধিবেশনে নতুন বিলের চিন্তা |
মেয়েদের জন্য দিল্লি যথেষ্ট নিরাপদ নয়, কবুল শীলার |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দিল্লি এখনও মেয়েদের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ নয়, বুধবার এ কথা স্বীকার করলেন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। পুলিশ মঙ্গলবার দিল্লির লাজপত নগর এলাকায় এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করার এবং তার পরে গলায় রড ঢুকিয়ে খুন করার চেষ্টা করে এক প্রতিবেশী যুবক। এর পর দিল্লির মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও মন্তব্য করেন শীলা দীক্ষিত। পাশাপাশি তাঁর সরকার শহরকে নিরাপদ করে তোলার সব রকম চেষ্টা করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
লাজপতনগরের এই ঘটনার প্রায় দু’মাস আগে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে ছ’জন। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। মহিলা-নির্যাতনকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে সম্প্রতি একটি অর্ডিন্যান্সও জারি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার পরেও কতটা নিরাপদ মেয়েরা? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি নারী অধিকার সংগঠন এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই অসন্তোষের কথা মাথায় রেখেই সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে একটি নতুন বিল পেশ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই বিলের খসড়া তৈরির কাজ চলছে।
গত বছর ১৬ ডিসেম্বর চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। প্রায় ৫০ দিনের মাথায় একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে শুরু হয়েছে সেই মামলার বিচার। ওই মামলায় সাক্ষ্য দেন ধর্ষিতা তরুণীর সঙ্গী বন্ধুটি। অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর ওই তরুণীর উপর নির্মম অত্যাচার চালানোর পাশাপাশি তাঁর বন্ধুকেও লোহার রড দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে অভিযুক্তরা। তাতে ওই তরুণ এতটাই জখম হন যে এখনও তিনি হাঁটতে পারেন না। মঙ্গলবার হুইলচেয়ারে চেপে তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন। অভিযুক্তদের শনাক্তও করেন। তাঁর বয়ানের সত্যতা যাচাই করতে বুধবার ওই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। বৃহস্পতিবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। বুধবারই কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী মহারাষ্ট্রের একটি সভায় বলেন, মহিলাদের সামাজিক অবস্থানের অগ্রগতির জন্য বিবিধ প্রকল্প এবং আইন প্রণয়ন করেছে ইউপিএ সরকার। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জারি করা হয়েছে নতুন অর্ডিন্যান্স। পাশাপাশি মহিলা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তিত কেন্দ্র। যার জন্য দেশ জুড়ে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পে খরচের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ৯০ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য দেশের প্রতিটি জেলায় শিশু-মৃত্যুর হার কমানো, এ কথাও উল্লেখ করেন সনিয়া। |
|
|
|
|
|