|
|
|
|
আগামী বইমেলা সাত দিন বাড়াবেন মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
আরও সাত দিন বাড়িয়ে আগামী বছর উনিশ দিনের বইমেলা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাতে বইমেলায় গিয়ে একথাই জানিয়ে এলেন তিনি। বইমেলাতেও তিনি তাঁর প্রাণের মাটি উৎসবের কথা ভোলেননি। বইমেলার উদ্যোক্তাদের মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন, মাটি উৎসবে যেন তাঁরা বই নিয়ে যান। |
এই চেয়ে দেখ আমার তলোয়ার বইমেলায় কলকাতা পুলিশের স্টলে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক। |
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বইমেলায় যান তাঁর ছড়া নিয়ে গানের একটি অ্যালবাম এবং কয়েকটি বই প্রকাশ করতে। তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র স্টলের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমি ঝগড়া করে বইমেলা চার দিন বাড়িয়েছি। পরের বছর সাত দিন বাড়াব। কারণ, মানুষ বইমেলা ভালবাসে। কলকাতা বইমেলা আমাদের ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট।” এ দিকে মেলা চার দিন বাড়ার ফলে ছোটখাটো প্রকাশকদের সমস্যা বেড়েছে। তাঁদের ২৫ শতাংশ বেশি খরচ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অগ্রাহ্য করেই এ বছর চার দিন বাড়ানো হয়েছে বইমেলা। ছোট প্রকাশকদের অনেকেরই বক্তব্য, চার দিন বাড়ানোর ফলে তাঁদের খরচ বাড়লেও সেই তুলনায় বেশি বই বিক্রি হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বইমেলা আরও সাত দিন বাড়ানোর কথা বলায় তাঁরা শঙ্কিত।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ‘জাগো বাংলা’র স্টল খড়ের কুটিরের সামনে আসতেই সেখানে মজুত চার জন বাউল গাইতে শুরু করেন ‘হৃদ্কমলে রাখব, ছেড়ে দেব না’।
ভিড়ের বইমেলায় তিনি গেলে যে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হতে পারে, তা আন্দাজ করেই মুখ্যমন্ত্রী একটু রাত করে মেলায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি কখনও মানুষের অসুবিধা করি না। সেই জন্যই রাত করে মেলায় এসেছি।” মুখ্যমন্ত্রী পরে রাজ্য সরকারের মণ্ডপ এবং কলকাতা পুলিশের স্টলও ঘুরে দেখেন।
গিল্ড-কর্তাদের সঙ্গে মেলার মাঠের আয়তন বাড়ানো এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্টল তৈরির সুবিধার জন্য সামান্য উঁচু করে স্থায়ী মেঝে তৈরি করা আছে বইমেলায়। তা ছাড়া, আধুনিক মেলার মাঠ সজ্জার রীতি মেনে কোথাও একটু উঁচু-নিচু করা হয়েছে। বইমেলার উদ্যোক্তাদের কাছে এটা অসুবিধার। মেলা সংগঠকেরা তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানালে তিনি সেগুলি ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। |
|
|
|
|
|