|
|
|
|
গড়িমসির নালিশ বোলপুরে |
ভাতা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রাপকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
ছ’ মাসেরও বেশি হবে। কাউন্সিলর বা পুরপ্রধানকে জানিয়েও বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বোলপুর পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদের। ২ নম্বর ওয়ার্ডের দর্জিপট্টির বাসিন্দা আব্দুল শেখের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে ভাতা পাচ্ছি না। অনেক বার কাউন্সিলরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। এমনকী পুরপ্রধানের নজরে আনা হয়েছে। তার পরেও ছ মাসের বেশি সময় ধরে ভাতা আটকে দেওয়া হয়েছে।” একই অভিযোগ ওই ওয়ার্ডের মেহেরুন্নেসা বিবি, মসু খাঁ, মনা ঘোষদের। তাঁদের দাবি, “যাঁদের বয়স ষাটের বেশি, তাঁদের মাসে ৪০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হত। তাও অনিয়মিত। আর যাঁদের বয়স আশি, তাঁরা বেশি ভাতা পাবেন কী ভাবে!”
বোলপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শেখ ইলিয়াশ, শেখ বদরুজ্জামান, শেখ আবু হাসেম, শিবু দলুইদের অভিযোগ, “ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে পুরপ্রধান সব স্তরে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানিয়েছি। সমস্যা মেটেনি। তাই আমরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি করছি।”
বার্ধক্য ভাতা প্রাপকদের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তাঁর দাবি, “বার্ধক্য ভাতা নিয়ে অনেকবার পুরপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কী কারণে ভাতা আটকে আছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখে জানাব।” শুধু বার্ধক্য ভাতা নয়, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাসিনা বিবি, মালতি দাসদের অভিযোগ, “বকেয়ার পর বকেয়া পড়ে আছে। কবে কত টাকা করে দিচ্ছে, তার কোনও হিসেব নেই।” প্রতিবন্ধী শেখ মুন্না, কল্পনা সর্দার, সালেহা খাতুনদের ক্ষোভ, “আমাদের অবস্থা তো বদলায়নি।”পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ভাতা প্রাপকদের সংখ্যা ৩৬২৭ জন। তার মধ্যে ২২৩৪ জন বার্ধক্য ভাতা প্রাপক রয়েছেন। প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ১৫৩ জন এবং ১২৪০ জন বিধবা ভাতা পান। এ ব্যাপারে বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অভিযোগ হাতে পাইনি। তবে বিষয়টি নিয়ে পুরপ্রধানের সঙ্গে কথা বলব। কী হয়েছে সবিস্তারে খোঁজ নিচ্ছি।” অন্য দিকে, প্রাপকদের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত বোলপুরের পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর বকেয়া পড়ে রয়েছে, সেই অভিযোগ ঠিক নয়। উপনির্বাচন শেষ হলেই বকেয়া মেটানো হবে।” |
|
|
|
|
|