টুকরো খবর
শিক্ষক নিয়োগ হয়নি, ভরসা দুই অবসরপ্রাপ্ত
গুরুপদ দাস ও হরিপ্রসাদ সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অনুমোদন পেয়েছিল ১৯৯৯ সালে। কিন্তু ওই দু’টি ক্লাসে পড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন শিক্ষক পদের অনুমোদন মেলেনি। সমস্যাটি লাভপুরের সত্যনারায়ণ শিক্ষানিকেতনের (উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়)। এই অবস্থায় স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে ওই স্কুলে পড়াচ্ছেন লাভপুরেরই বাসিন্দা দুই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। গুরুপদ দাস ও হরিপ্রসাদ সরকার দু’জনেই লাভপুর যাদবলাল হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছেন। ইংরেজি শিক্ষক গুরুপদবাবু ২০০০ সালের অক্টোবরে অবসর নিয়ে সত্যনারায়ণ শিক্ষানিকেতনে যোগ দেন। অন্য দিকে, হরিপ্রসাদবাবু যাদবলাল হাইস্কুল থেকে অবসর নিয়ে ১৯৯৮ সাল থেকে সত্যনারায়ণ শিক্ষা নিকেতনে প্রথমে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ও ভূগোল পড়ানো শুরু করেন। বর্তমানে তিনি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বাংলা পড়ান। ওই দুই শিক্ষকের বক্তব্য, “আমরা পড়াতে ভালবাসি। হাতের কাছে স্কুলে পড়ানোর আবেদনটাকে উপেক্ষা করতে পারিনি। তা ছাড়া, অবসর জীবনে কর্মহীন হয়ে বসে থাকার চেয়ে পড়াশোনার মধ্যে থাকা অনেক ভাল।” ওই দুই শিক্ষকের অনলস পরিশ্রমকে ‘অবদান’ হিসেবে দেখছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কল্যাণী দাস ও পরিচালন কমিটির সম্পাদক সুব্রত নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বক্তব্য, “তাঁরা বিনা পারিশ্রমিকে পড়িয়ে স্কুলকে বাঁচিয়েছেন। তাঁদের অবদান ভোলার নয়।” তবে অনুমোদন পাওয়ার এত দিন পরেও কেন শিক্ষক নিয়োগ হল না? সে প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর অবশ্য প্রশাসনের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) স্বপ্না দে আইচ বলেন, “এক বছর হল এই পদ সামলেছি। বৃহস্পতিবার চাকরি জীবন শেষ হয়ে গেল। এই সময়ের মধ্যে সব স্কুলের নাম ও খবর জানা সম্ভব হয়নি।”

তৃণমূলে ‘সমাজবাদী’ সুব্রত
নলহাটিতে সভায় অনুব্রত মণ্ডল ও সুব্রত দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।
পুরসভা ভোটের আগের দিনের রাত। ২০১২ সালের ২ জুন। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ নম্বর ওর্য়াডের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী সুব্রত দত্ত গ্রেফতার হয়েছিলেন। ভোটে খোদ তৃণমূলের পুরপ্রধান বিপ্লব ওঝা তার কাছে পরাজিতও হয়েছিলেন। সেই সুব্রত দত্তকে নলহাটি উপনির্বাচনের আগে তাদের দলে টেনে নিল তৃণমূল। তৃণমূলে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “পুরসভা ভোটের আগের রাতের ঘটনা রাজনৈতিক যুদ্ধের লড়াই ছিল। ওটাকে মারামারি বলতে চাই না। তবে শ্রমিক সংগঠন সিটুর লোকজন আমাদের শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। সিপিএমের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তৃণমূলে যোগ দিলাম।” বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সুব্রতবাবুর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। অনুব্রতবাবু বলেন, “ওটা পুরনো ঘটনা। তবে সুব্রতবাবু আসায় দলের শক্তি বাড়বে।” এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লববাবুও। তিনি বলেন, “দলে যে কেউ আসতে পারেন। তাঁকে স্বাগত।” এ দিকে, সমাজবাদী পার্টির জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানসেন আলি বলেন, “দলের কেউ তাঁর সঙ্গে নেই। নিজের স্বার্থের জন্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” এ দিনই দুই নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেন। তাই নলহাটি উপনির্বাচনের জন্য মোট ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেন।

তালা ভাঙার নির্দেশ কোর্টের
তালা ভেঙে ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধা ছায়াদেবীকে বাড়িতে ঢোকানোর নির্দেশ দিল সিউড়ি আদালত। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা ছায়া চক্রবর্তীকে মঙ্গলবার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ ডাঙালপাড়ার বাড়িতে তালা দেওয়া থাকায় তাঁকে ঢোকানো যায়নি। তাই বুধবার আদালত নির্দেশ দিয়েছে, তালা ভেঙে ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে ঢোকাতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ ফের ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে নিউ ডাঙালপাড়ায় যাবে। তালা খোলা থাকলে ভাল, না হলে আদালতের নির্দেশ মতো কাজ হবে।” অভিযোগ ছিল, ছোট ছেলে লালকমল চক্রবর্তী মা ছায়াদেবী, দাদা ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে নিজের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন।

উরস মেলা
প্রতি বছর ২৩ মাঘ দেওয়ান সাহেবের মাজারকে ঘিরে বসে এক দিনের উরস মেলা। ঢল নামে মানুষের। ঝাড়খন্ড ঘেঁষা বীরভূমের রাজনগরের ফুলবাগান লাগোয়া ওই মাজারকে ঘিরে এই মেলা তিনশো বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে বলে রাজনগরের রাজাপরিবার সূত্রে খবর। বর্তমান প্রজন্ম মহম্মদ সফিউল আলম বলেন, “রাজনগরের মুসলিম শাসনকালে যে সব রাজা রাজত্ব করেছিলেন তাঁদের অন্যতম ছিলেন রাজা খাজা আসাদুল্লা খান। কিন্তু তিনি রাজার পদ থেকে সরে গিয়ে আধ্যাত্মিক পদ বেছে নেন। পরিচয় পান সন্ত দেওয়ান সাহেব হিসেবে। তাঁর জীবনাবসানের পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিতে রাজ পরিবার থেকে তাঁর ব্যবহৃত একটি চাদর নিয়ে নিয়ে ওঁর মাজারে চড়ানো হয়। বসে মেলাও।”

বিক্ষোভ
ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থার গচ্ছিত টাকা ফেরৎ পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। এই অভিযোগে সংস্থার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বুধবার জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ওই সংস্থার সিউড়ি ও রামপুরহাট শাখার এজেন্টরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.