|
|
|
|
সিপিএম নেতাদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
সিপিএম নেতাদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের পালটিয়া গ্রামে। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কেতুগ্রাম ১ দক্ষিণ লোকাল কমিটির সম্পাদক আনসারুল হক চৌধুরী ও গত বিধানসভা ভোটে সিপিএমের প্রার্থী, কাটোয়া কলেজের শিক্ষক আবুল কাদেরের বাড়ি ভাঙচুর করে। বেশ কিছু কর্মী-সমর্থককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেতুগ্রাম থানার আইসি আব্দুল গফ্ফর এবং এসডিপিও (কাটোয়া) ধ্রুব দাস।
সিপিএম নেতা-কর্মীরা জানান, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি নানা দাবিদাওয়ায় কেতুগ্রাম ১ বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে কৃষকসভা। কেতুগ্রাম ১ ব্লকের কান্দরায় লোকসভা ভোটের পরে সিপিএম এ বারই প্রথম এমন কর্মসূচি নিয়েছিল। ব্লক অফিস-সহ নানা এলাকায় এই কর্মসূচির ব্যাপারে পোস্টারও সাঁটিয়েছে সিপিএম ও কৃষকসভা। তাদের অভিযোগ, বুধবার সকাল থেকে তৃণমূল কর্মীরা ওই সব পোস্টার ছিঁড়তে শুরু করে। প্রকাশ্যে ওই কর্মসূচিতে না আসার জন্য হুমকিও দেয়। এ দিন দুপুরে সিপিএমের কেতুগ্রাম ১ দক্ষিণ লোকাল কমিটির সম্পাদক আনসারুল হক চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ সবের প্রতিবাদে সিপিএম পালটিয়া গ্রামে বাসস্টপে এ দিন বিকেলে পথসভার আয়োজন করে। সিপিএমের অভিযোগ, প্রচুর মহিলা-সহ এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তৃণমূলের বেশ কিছু লোকজন বোমা ফাটাতে ফাটাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তার পরে মারধর শুরু হয়। গত বিধানসভা ভোটে সিপিএমের প্রার্থী আবুল কাদেরের কথায়, “পুরো এলাকা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার ও লোকাল কমিটির সম্পাদকের বাড়ি ভাঙচুর করে।” সিপিএম নেতাদের আরও অভিযোগ, বাড়ির সদর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আবুল কাদেরের মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয়। বাইরে থেকেও প্রচুর ইট ছোড়া হয়।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অচিন্ত্য মল্লিকের অভিযোগ, “১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে কৃষকসভা ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল। তা ভেস্তে দেওয়ার জন্যই পরিকল্পনা করে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে।” তৃণমূল অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের কেতুগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে-র পাল্টা বক্তব্য, “পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তাই সিপিএম এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির জন্য নাটক শুরু করেছে।” পুলিশ জানায়, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|