|
|
|
|
তেলের কারখানায় আগুন, ঝলসে গেলেন সাত শ্রমিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ফার্নেস পরিষ্কারের সময় তাতে মজুত দাহ্য গ্যাসে আচমকা আগুন ধরে ঝলসে গেলেন সাত শ্রমিক। বুধবার দুপুরে বর্ধমানের মির্জাপুরের বনশল অয়েল মিলে এই ঘটনা ঘটে। সাত শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ পরে সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। |
|
এখানেই লেগেছিল আগুন। —নিজস্ব চিত্র। |
কারখানার শ্রমিকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই ফার্নেসটি পরিষ্কার করা হয়না। এ দিন শ্রমিকদের দিয়ে হাতুড়ি ঠুকে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে তা পরিষ্কার করা হচ্ছিল। ফার্নেসের ভেতরই জমে ছিল অতিদাহ্য গ্যাস। হাতুড়ি ঠোকার সঙ্গেসঙ্গেই স্ফুলিঙ্গ দেখা দেয়। আচমকা আগুনও ধরে যায়। যে সাত শ্রমিক হাতুড়ি ঠুকে ওই ফার্নেস পরিষ্কার করছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ঝলসে যান। কারখানার শ্রমিক মঙ্গলদীপ বাগ ও সূর্যকান্ত ঘোষ বলেন, “আগুন দেখে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়ি। ছুটে গিয়ে দেখি কারও মুখ ঝলসে গিয়েছে, কারও দেহ পুড়ে গিয়েছে।” তাঁদের অভিযোগ, ফার্নেস দীর্ঘদিন ধরে না পরিষ্কার না হওয়ায় গ্যাস জমেছে তা বোঝা যায়নি। ফলে হাতুড়ি দিয়ে ঠুকতেই আগুন ধরে যায়।”
তবে কারখানার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার গৌরব অগ্রবালের দাবি, “দু-তিন মাস অন্তর যন্ত্রটিকে পরিষ্কার করা হয়। আজও শ্রমিকেরা ওই ডিটি মেশিন পরিষ্কার করছিল। পরিষ্কারের সময় দাহ্য গ্যাসে বাইরের অক্সিজেন মিশে আগুন ধরে যায়। এটি নিছকই দুর্ঘটনা। তবে কেন এই ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হবে। আপাতাত আমরা অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকদের চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত।”
খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। আসে পুলিশ ও দমকল। দমকলের কর্মীরা জল ছিটিয়ে ফার্নেস ঠান্ডা করেন। দুপুরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক দগ্ধ শ্রমিকের আত্মীয় সূর্যকান্ত বাগ ও রবিন বাগ বলেন, “কারখানায় কোনও নিরাপত্তা নেই। নানা যন্ত্র নিয়ে কাজ করার জন্য যে সমস্ত ন্যূনতম ব্যবস্থা থাকা দরকার, তার কিছুই নেই। আমরা ওই কারখানার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”
বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কারখানার বিরুদ্ধে এখনও কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” |
|
|
|
|
|