আরএসপি নেতার গাড়িতে লালবাতি, বাধা |
পার্টি নেতার গাড়িতে লালবাতি লাগানো ও ভারত সরকারের নাম ব্যবহার করার অভিযোগে গাড়িটিকে পালশিট থেকে আটক করল মেমারি থানার পুলিশ। গাড়িটি জেলা আরএসপি সম্পাদক অঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ মির্জার বক্তব্য, “অঞ্জনবাবু নিজেকে জেলা পরিকল্পনা কমিটির সদস্য ও জামুরিয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সভাপতি বলে দাবি করলেও তার কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। তাই মঙ্গলবার গাড়িটি আটক করা হয়। পুলিশ তার বিরুদ্ধে ‘এমভি’ আইনে মামলা দায়ের করেছে।” যদিও অঞ্জনবাবুর বক্তব্য, নথি দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। বুধবার তিনি বলেন, “আমার গাড়িতে একসময়ে বামফ্রন্টের মন্ত্রী, সাংসদ বা বিধায়কেরা চড়তেন। তাই ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকার থেকেই আমাকে লালবাতি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জামুড়িয়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সরাসরি ভারত সরকারের আওতাধীন বলেই আমি গাড়িতে ভারত সরকারের নাম ব্যবহার করেছিলাম। ১৯৯৪ সালের মে মাসেই সেই অনুমতি আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, এমন কোনও চিঠি আমি রাজ্য বা কেন্দ্র সরকাররের কাছ থেকে পাইনি। আমি সঙ্গে থাকা সমস্ত নথিপত্র দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ সেসব অস্বীকার করেছে। আমাকে মাত্র ৩৫০ টাকার জরিমানা জমা দিতে বলা হয়েছে।”
|
তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় বসার দাবি |
প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে কোনও বিষয়ের কোনও পত্রে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে বুধবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের নেতা সন্তু ঘোষ বলেন, “আগে প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীরা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় বসতে পারতেন। কিন্তু গত ৩১ জানুয়ারি থেকে বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও হুগলির প্রায় ১৫০টি কলেজে সার্কুলার পাঠিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশ দিয়েছে, নতুন নিয়মে তা সম্ভব হবে না। কিন্তু পরীক্ষার ফল প্রকাশে চলছে দীর্ঘসূত্রতা। ফলে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলপ্রকাশের একমাস পরেই তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীকে। এভাবে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা না দিতে পারায় অনেক পড়ুয়ারই ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দাবি, নতুন নিয়ম রদ করে আগের মতো প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের কোনও পত্রে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের তৃতীয় বর্ষে বসতে সুযোগ দেওয়া হোক।” এছাড়া রিভিউয়ের আবেদনের ফি হ্রাস, আরটিআই আইনে খাতা দেখা ও প্রত্যয়িত নকল হাতে পাবার জন্য যে বর্ধিত মূল্য নির্ধারিত হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বলেন, “অনেক ব্যাক পাওয়া ছাত্রছাত্রী এসে জানিয়েছেন, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় বসতে না পারলে তাঁরা বিপাকে পড়বেন। আমি দাবিগুলি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছি। তবে এখনই এই সুযোগ দেওয়া হবে, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারিনি।”
|
মাটি পরীক্ষা করেই চাষ, বললেন কর্তারা |
কৃষি প্রশিক্ষণ শিবির হল পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতে। দু’দিনের এই শিবির শেষ হবে আজ, বৃহস্পতিবার। শিবিরে যোগদানকারীদের বেশিরভাগই কৃষক পরিবারের। বুধবার ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে কৃষি বিশেষজ্ঞেরা মাটি পরীক্ষার উপর বিশেষ জোর দেন। জানানো হয়, কোন সময়ে কীভাবে কতটা গভীর থেকে মাটি তুলে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। শিবিরে উপস্থিত কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক লক্ষ্মণ দাস জানান, মাটি পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে জমিতে কী পরিমাণ নাইট্রোজেন, ফসফেট, পটাশ মজুত রয়েছে। পরীক্ষাগার থেকে মাটি পরীক্ষার ফল হাতে পেলেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কী ধরনের ফসলের চাষ ওই মাটিতে করতে হবে। মাটি পরীক্ষায় জমির উপর ফসফেট ধরা পড়লে প্রয়োগ করতে হবে ফসফেট নাশক জীবানু। মাটির অম্লতা বেড়ে গেলে জমি শোধন করতে হবে জিপসাম দিয়ে। অনুষ্ঠানে মহকুমা কৃষি অধিকর্তা স্বপন কুমার মারিক বলেন, “সারের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি মজুরের সমস্যা, মাটির উর্বরতা কমে যাওয়া, জলস্তর নেমে যাওয়া, উন্নত মানের বীজ না পাওয়া-সহ নানা সমস্যা রয়েছে চাষাবাদে। তাই প্রশিক্ষণ শিবিরে বেশি পরিমাণে জৈব সার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে চাষিদের। এ দিনের শিবিরে হাজির ছিলেন সহ-কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক পরিতোষ হালদার-সহ বিশিষ্টেরা।
|
মদ খেয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হল এক যুবককে। বুধবার মন্তেশ্বরের রায়গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়াপুর গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম গোপাল মুর্মু (৪২)। বাড়ি কালনা ১ ব্লকের সোনাডাঙা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বোরো ধান চাষের জন্য কয়েক জন খেতমজুর কালিয়াপুর গ্রামে ঘোর মহম্মদ শেখের বাড়িতে কাজ করতে আসেন। তাদের মধ্যে বলরাম হাঁসদা মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় গোপালের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই আচমকা বলরাম একটি বাঁশ নিয়ে গোপালের মাথায় মারেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। বলরামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানায়, তার নাম শ্যামল রায় (৩৩)। বাড়ি স্থানীয় বড় কড়াইল গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সাইকেল বোঝাই সব্জি নিয়ে নাদনঘাট বাজারে যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকা একটি বালি বোঝাই লরি তাকে পিছন থেকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। |