|
|
|
|
জয় বালাজি নিয়ে ফের সরব নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
জয় বালাজির ইস্পাত কারখানায় তিন স্থায়ী ও এক অস্থায়ী কর্মীকে পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার সিটিসেন্টারে সভা করলেন নানা ঝামেলায় অভিযুক্ত নেতা অসীম প্রামাণিক। ছিলেন পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান সুপ্রভাত মণ্ডল, মেয়র পারিষদ মধুসূদন ঘোষ, বোরো চেয়ারম্যান চন্দন সাহা প্রমুখ। আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বারবার অসীমবাবুর সঙ্গে তাঁদের সংগঠনের কোনও যোগের কথা অস্বীকার করলেও এ দিনও তিনি সংগঠনের ব্যানার টাঙিয়ে সভা করেন। অসীমবাবু কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সময়ে বেতন না দেওয়া, শ্রম আইন না মানা, জমির চরিত্র পরিবর্তন না করে দীর্ঘদিন ধরে কারখানা চালানোর অভিযোগ তোলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ওই কারখানার প্রশাসনিক ভবনে বৈঠক চলাকালীন আধিকারিকদের উপরে চড়াও হওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত অসীমবাবু। সেই রাতেই কারখানার এক আধিকারিক বিধাননগরে নিজের বাড়িতে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হন। ফের এমন ঘটলে কারখানা গুটিয়ে নেওয়ার হুমকিও দেন কর্তৃপক্ষ। পরে তৃণমূল এবং আইএনটিটিইউসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ মত বদলান। তবে কর্তৃপক্ষ অসীমবাবু ও কারখানার তিন স্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন। ওই তিন কর্মীকে বরখাস্ত করার কথাও জানান তাঁরা। অসীমবাবুর সংগঠনকে অবৈধও ঘোষণা করেন। এর কিছু দিন পরেই বিধাননগরে অসীমবাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভের জেরে জেরবার হয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল। দিন কয়েক আগে তিনি পোস্টার সাঁটিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেন। বুধবার অসীমবাবু সভা করে বরখাস্ত হওয়া তিন স্থায়ী ও এক অস্থায়ী কর্মীকে পুনর্বহালের পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, “কারখানায় শ্রম আইন মানা হয় না। পিএফ, ইএসআইয়ের সুবিধা পান না অধিকাংশ শ্রমিক। যে জমিতে কারখানা সেখানে আগে পুকুর ছিল, ছিল দেবোত্তর সম্পত্তিও। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জমির চরিত্র বদল না করেই কারখানা চালু করেছেন।” কারখানা কর্তৃপক্ষ অসীমবাবুর অভিযোগ মানতে চাননি। ভাইস প্রেসিডেন্ট নিরঞ্জন গৌরীসারিয়ার পাল্টা প্রশ্ন, “আমরা এডিডিএ-র কাছ থেকে জমি লিজ নিয়েছি। দশ বছর ধরে কারখানা চলছে। এমন অভিযোগ সত্য হলে প্রশাসন বা এডিডিএ কী চুপ করে থাকত?” অসীমবাবুর ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে। কিন্তু তা শ্রম দফতরকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মেটাতে হবে। কোনও ভাবেই আন্দোলনের নামে জঙ্গিপনা চলবে না।” এ দিনের সভায় উপস্থিত তৃণমূল নেতারা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
|
|
|
|
|