আর্থিক সংস্থায় ডাকাতিতে ধৃত ৫, খোঁজ আর পাঁচের
বেনাচিতির বেসরকারি আর্থিক সংস্থায় ডাকাতির তদন্তে নেমে ঝাড়খণ্ড থেকে দুই মহিলা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রায় চার কেজি প্রায় ৪ কেজি সোনা, ৪ লক্ষেরও বেশি টাকা ও পাঁচটি মোবাইল। বুধবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের জেরা করে আরও পাঁচ জনকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া জিনিস। —নিজস্ব চিত্র।
সোনা জমা রেখে ঋণ দেওয়ার ওই সংস্থায় ডাকাতি হয়েছিল গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা প্রায় ৩৬ কেজি সোনা ও ১১ লক্ষ টাকা নিয়ে পালায়। পুলিশের পাশাপাশি তদন্তে নামে সিআইডি-ও। ইতিমধ্যে সোনা ফেরতের দাবিতে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ দেখান। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়েছে। যোগাযোগ করা হয় ধানবাদ পুলিশের সঙ্গে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী অধ্যুষিত বারোয়াড্ডায় দশরথ মাহাতো নামে এক দুষ্কৃতীর বাড়িতে যৌথ অভিযান হয়। দশরথ পালায়। ধরা পড়ে তার স্ত্রী সরস্বতী, শাশুড়ি টুমিয়া, দুই শ্যালক সুজিত ও অজিত মাহাতো। উঠোনে কলসির ভিতরে গয়না ছিল। বাড়িতে মেলে ৪,২২,২২০ টাকা। নতুন তিনটি টিভি, একটি রেফ্রিজারেটর, দু’টি মিউজিক সিস্টেম, ছ’টি পাখা ও বেশ কিছু জামাপ্যান্টও পাওয়া গিয়েছে। ডাকাতির পরের দু’দিনে ধানবাদের রাজগঞ্জ বাজার থেকে সেগুলি কেনা হয়েছিল। দশরথের পাশের বাড়ি থেকে ধরা হয় আমোদ চৌধুরী নামে এক দুষ্কৃতীকে। পুলিশের দাবি, সে ডাকাতিতে সরাসরি জড়িত ছিল। বাকিরা চোরাই মাল আত্মসাতে যুক্ত।
পুলিশের দাবি, জেরায় সরস্বতী দোষ জানিয়েছে, ঘটনার দু’দিন আগে দুষ্কৃতীদের বাড়িতে ডেকে ছক কষেছিল দশরথ। সে দীর্ঘদিন মোটরবাইক চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। দলের বাকিরাও ছোটখাটো চুরির সঙ্গেই যুক্ত ছিল। ধানবাদ ও গয়ার বিভিন্ন সংশোধনাগারে থাকার সময়ে তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। আর্থিক সংস্থাটির নিরাপত্তাতেও ফাঁক ছিল বলে দাবি করেছেন এডিসিপি (পূর্ব)। তিনি জানান, অফিসে সাতটি বিপদঘন্টি ছিল। একটিও বাজানো হয়নি। ঘটনার দশ মিনিট পরেও কেউ পুলিশকে খবর দেয়নি। সিসিটিভি-র রেকর্ডার থাকার কথা গোপন জায়গায়। কিন্তু সেটি ছিল সামনেই। ডাকাতেরা সেটি নিয়ে চলে যায়। ভল্টের দু’টি চাবি থাকে দুই আধিকারিকের কাছে। ভল্ট খুলতে দুটি চাবিই লাগে। কিন্তু ডাকাতির সময় দু’টি চাবিই এক আধিকারিকের কাছে ছিল। এক জন মাত্র বন্দুকধারী প্রহরীর ভরসায় কী করে এত সোনা মজুত রাখা হয়েছিল, এমনকী রক্ষীর দক্ষতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। মাসে এক বার করে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক করে পুলিশ। এই সংস্থাটি কোনও দিন তাতে আসেনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.