|
|
|
|
বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফাটল-ধস, আতঙ্ক কুলটিতেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বিস্তীর্ণ এলাকায় ধস ও ফাটল দেখা দিল কুলটির আলডিহি গ্রামে। বুধবার এর ফলে ফাটল ধরে একটি মসজিদের দেওয়াল, মেঝেতেও। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় ইসিএল কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে কুলটি পুরসভাও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ তাঁরা মাটি ফাটার শব্দ শুনতে পান। মসজিদে তখন নমাজ পড়া হচ্ছিল। শব্দ শুনে সেখান থেকে মানুষজন বেরিয়ে এসে দেখেন, মসজিদের দেওয়ালে চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে। মেঝে ফেটে চৌচির। এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে মাটি বসে গিয়েছে। অনেক জায়গাতেই ছোট-বড় ফাটল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই আলডিহির লাগোয়া এলাকায় অবৈধ খননের রমরমা কারবার চলছে। তারই জেরে এই ধস ও ফাটল। স্থানীয় কাউন্সিলর সুবোধ টুডু জানান, ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। সুবোধবাবু বলেন, “প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি ইসিএল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।” |
|
এভাবেই ফেটেছে মাটি। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে যান ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার মিঠানি কোলিয়ারির জেনারেল ম্যানেজার বাসব চৌধুরী। আলডিহি গ্রাম লাগোয়া এলাকার ওই ফাটল ও ধসের পরিস্থিতি দেখে তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে ইসিএলের কোনও সম্পর্ক নেই। এলাকায় ব্যাপক অবৈধ কয়লা খননের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাসববাবু বলেন, “ফাটল যদি বাড়ে এবং তা যদি ভরাটের প্রয়োজন হয়, তাহলে ইসিএল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
এ দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাটলও বেড়েছে। ফলে বাসিন্দাদের আতঙ্কও বেড়েছে। কুলটি পুরসভার উপ-প্রধান বাচ্চু রায় জানান, পুরসভার তরফে এই বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই ইসিএল কর্তৃপক্ষকে পুরসভার তরফে ওই এলাকায় ডোজার চালিয়ে মাটি ভরাটের আবেদন জানানো হবে। বাচ্চুবাবু আরও জানান, বুধবার যে এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে তার আশেপাশে একাধিক গ্রাম রয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বাস করেন ওই সব জায়গায়। বাসিন্দাদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা পুরসভা গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। |
|
|
|
|
|