জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত সমিতি ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে নামল জেলা কংগ্রেস। সোমবার জেলার ৮ ব্লকের ৭টি বাম এবং ১টি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে বিকাল ৩টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। কংগ্রেস কর্মী সমর্থকের মিছিলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পঞ্চায়েত তথা বিডিও অফিস।
পরে বিকালে তৃণমূল পরিচালিত বংশীহারী পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার এক বিপিএলভুক্ত বাসিন্দা জিয়ারুদ্দিন মিঁয়া তাঁর ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে জাসরিন পারভিনকে নিয়ে বিডিও-র কাছে কম্বল চাইতে যান। বিডিও বনমালি রায় তাঁকে অপমান করে ঘর থেকে বার করে দেন বলে অভিযোগ। এ কথা শুনে আন্দোলনকারী কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাতে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। বিডিও বনমালি রায় বলেন, “ব্যস্ত থাকার জন্য ওই ব্যক্তিকে পরে আসতে বলেছিলাম।” এদিন কুমারগঞ্জ ও গঙ্গারামপুরে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি বলেন, “সব ব্লক অফিসে প্রচুর শীতবস্ত্র দেওয়া হলেও গরিবেরা পাচ্ছেন না। কম্বলগুলি কি পঞ্চায়েতে ভোট কিনতে বিলি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” বালুরঘাট ও তপনে ব্লকেও ব্লক কংগ্রেস সভাপতিদের নেতৃত্বে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিডিওকে ঘেরাও করে রাখা হয়। কেন্দ্রের রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা, সজলধারার মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রূপায়ণে অনিয়মের অভিযোগ করে বিক্ষোভ চলে। ১১ দফা দাবিতে ৮ ব্লকে কংগ্রেসের তরফে বিডিওদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
|
বাংলায় আইনের শাসন নেই। এখানে বর্বরতা চলছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভার ৩৫ তম রাজ্য সন্মেলন উপলক্ষে বৃন্দাবনী ময়দানের জনসমাবেশে সংগঠনের সবর্ভারতীয় সভাপতি এসআর পিল্লাই এ ভাবেই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন। তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে মাফিয়ারাজ চলছে। তোলাবাজদের রাজ চলছে। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি চলছে। রাজ্যের প্রধান সব কিছু অস্বীকার করছেন।” এ দিন রাজ্য সরকার ও মমতাকে আক্রমণ করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূযর্কান্ত মিশ্র বলেন, “২০ মাসে রাজ্যে ৭৮ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এক জন আত্মঘাতী কৃষকের বাড়ি যাননি। অথচ কৃষিমেলা করছেন। উত্তরবঙ্গ উৎসব করছেন।” তিনি অভিযোগ করেন, খবর আছে এ বার নাকি মাটি উৎসব হবে। ৩০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। সব উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী আছেন। কোটি টাকা উৎসবে খরচ করা হচ্ছে অথচ তিনি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর সময় পাচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে কেউ ভাল নেই। ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক-শ্রমিক পুলিশ কেউ ভাল নেই। মুখ্যমন্ত্রী কিছুই মনে রাখতে পারেন না। ১৯৪৭ থেকে ’৭৭ সালের মধ্যে রাজ্যে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছিল। বাম আমলে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়। অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বাম আমলে একটিও বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। সম্মেলন শেষে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভা সম্পাদক নির্বাচিত হন নৃপেন চৌধুরী।
|
সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা সই ছাড়াই মহিলা স্বনির্ভর দলগুলির কাছ থেকে সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট দফতরের কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের শিরসি অঞ্চলের ১০টি মহিলা স্বনির্ভর দলের তরফে দলনেত্রীরা বালুরঘাটে জেলাশাসকের কাছে ওই অভিযোগ করেছেন। প্রায় ১ বছর আগে জেলার সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম থেকে দলপিছু ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকা ঋণ পান এবং যথাসময়ে প্রতিমাসে ওই ঋণের কিস্তির টাকা ফেরত দিচ্ছেন। এক এজেন্ট বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর আবদুস সামাদ সরকারের নামে রাবার স্ট্যাম্প দিয়ে মানি রিসিপ্ট রসিদে টাকা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু ওই রসিদে সই নেই। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর আবদুস সামাদ সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ৭ মাসের কিস্তির টাকাও দফতরের কম্পিউটার ঘেঁটে হদিশ মেলেনি বলে স্বনির্ভর দলগুলির অভিযোগ।
|
ফের কোচবিহারকে ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনে জিসিপিপি। দলের তরফে প্রচারও শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটায় জনসভা করবে জিসিপিপি। সম্প্রতি এ কথা বলেছেন দলের সম্পাদক বংশীবদন বর্মন। |