অফিসে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এক কর্মীকে বেঁধে ৫ লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে নিয়ে যাওয়ার পথে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলল জনতা। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার নয়াবাজার এলাকায় কালিনাথ রোডে। যে সময় ওই ঘটনা ঘটে তখন ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর খানেক আগেও একবার মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়ি সফরের সময় শহরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মহম্মদ ফারুক। তার বাড়ি রাজস্থানে। দুষ্কৃতীরা প্রধাননগরের জংশন এলাকায় একটি হোটেলে ছিল। তল্লাশি চালিয়ে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ অবশ্য ওই ঘটনা নিয়ে এখনও সন্দিহান রয়েছে। দিনের বেলায় নয়াবাজারের মতো ব্যবসায়িক এলাকায় দুষ্কৃতীরা কি করে লুঠের সাহস পেল তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার বলেন, “যে দলটি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা রাজস্থানের বলে জানা গিয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” সিপিএমের তরফে ওই ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। শিলিগুড়ির সিপিএম নেতা সঞ্জয় টিব্রুয়াল বলেন, “আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় এনটিএস মোড়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আবার মুখ্যমন্ত্রী ঠিক যে সময়ে শহরে সে সময়েই লুঠের ঘটনা ঘটল। আইনশৃঙ্খলার অবস্থার কি পরিণতি তা এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, কালিনাথ রোডে নিউ ভোপাল বিল্ডিংয়ে এক তলায় একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার অফিস রয়েছে। বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ ৪ জন ব্যক্তি অফিসে যান। অফিসের ম্যানেজার দেওকিসান সারদা অভিযোগ জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা রিভলবার বের করে কর্মীদের ভয় দেখাতে শুরু করেন। একজন কর্মীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন তারা। তার পর থেকে দোকানে থাকা কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। সেই সময় অফিসের কর্মীদের চিৎকারে দুটি দলে ভাগ হয়ে দুষ্কৃতীরা পালাতে শুরু করে। তিন জন দুষ্কৃতী বর্ধমান রোড ধরে পালিয়ে যায়। অপর জন, গাঁধী ময়দানের দিকে গেলে জনতাদের একাংশ তাকে ধরে ফেলে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ওই চারজন কয়েক দিন ধরে প্রধাননগরের এক হোটেলে ছিল।
|