|
|
|
|
তিন কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী জেলার মতেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
এআইসিসি-র তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শাকিল আহমেদ সোমবারই দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। মালদহের ইংরেজবাজারে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে রবিউল আনাম চৌধুরী এবং বীরভূমের নলহাটিতে আবদুল রহমান কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন। আগেই বামফ্রন্ট, তৃণমূল এবং বিজেপি-র প্রার্থীদের নাম ঘোষিত হয়েছে।
ইংরেজবাজার ও রেজিনগরের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও হুমায়ুন কবীর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা কংগ্রেসের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কারণে ওই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। আর নলহাটির বিধায়ক রাষ্ট্রপতি-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সাংসদ হয়ে যাওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন করতে হচ্ছে। তিনটি আসনই কংগ্রেস দখলে ছিল। ফলে উপনির্বাচনে তাদের দুর্গ রক্ষা করেই কংগ্রেস পঞ্চায়েত ভোটের জমি তৈরি করতে চাইছে।
প্রার্থী ঘোষণার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব জেলার মানুষকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতিরা যে নাম পাঠিয়েছিলেন, দিল্লি তাঁদেরই মনোনীত করেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনটি আসনে আমাদের জয় জরুরি।” শাকিলও বলেন, “যে তিন জনকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস করছেন। দল বদলের সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কখনওই মেনে নেয়নি। ফলে ক্ষমতার লোভে ইংলিশবাজার ও রেজিনগরের যে দুই বিধায়ক দল ছেড়েছেন তাঁদের স্থানীয় মানুষ উচিত শিক্ষা দেবে বলেই বিশ্বাস করি।”
কংগ্রেসের এক কেন্দ্রীয় নেতার মতে, কংগ্রেস-তৃণমূল-বাম ত্রিমুখী লড়াইয়ে ভোট কাটাকাটি যে হবে সন্দেহ নেই। তার যথা সম্ভব ফয়দা তোলার চেষ্টা তাঁদের করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্য কংগ্রেসের নেতৃত্বের একাংশের অভিমত, কোনও অবস্থাতেই তিন কেন্দ্রে তৃণমূল
যাতে জয়ী হতে না পারে সেই কৌশল নিয়েই ভোট যুদ্ধের ময়দানে তাঁদের নামা উচিত।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তিনটি আসন কংগ্রেসের দখলে ছিল। ফলে তৃণমূলের হারানোর কিছু নেই। বরং কংগ্রেস হারলে এটাই প্রমাণিত হবে যে মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো কংগ্রেসের দুর্গে ভাঙন ধরছে।
|
ইমাম-ভাতা নিয়ে প্রশ্ন কোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা |
শুধু ইমামদেরই ভাতা কেন? অন্য যাঁরা এই ধরনের কাজ করেন, তাঁদের নয় কেন? রাজ্যে অন্য যে-সব গরিব মানুষ আছেন, তাঁরা এই ধরনের ভাতা থেকে বঞ্চিত কেন? রাজ্য সরকারের কাছে এ-সব প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের। শুধু প্রশ্নেই শেষ নয়। কাল, বুধবার রাজ্য সরকারকে এ-সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে হাইকোর্টে।
রাজ্য সরকার ইমামদের মাসিক ২৫০০ টাকা ভাতা দিচ্ছে। ইমামদের ভাতা দেওয়ার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করে বিজেপি। সোমবার সেই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কাছে এই সব প্রশ্নের জবাব চায়।
জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী কৌশিক চন্দ শুনানির সময় বলেন, রাজ্য সরকার ইমামদের ভাতা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইমামদের মধ্যে অনেকেই গরিব। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারেন না। পরিবারের ভরণপোষণ করতে পারেন না। তাই ভাতার ব্যবস্থা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তির সূত্রে বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্রের কাছে জানতে চান, বহু গরিব মানুষ নিজের পরিবারকে খেতে দিতে পারেন না, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারেন না। তাঁদের সকলকে না-দিয়ে শুধু ইমামদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে কেন? সেই সময়েই কৌশিকবাবু যোগ করেন, অনেক যাজক, পুরোহিতও অত্যন্ত গরিব। অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যাঁরা ইমামদের মতোই কাজ করেন এবং তাঁদের মধ্যে যাঁরা গরিব, তাঁদের ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন, সরকারের কাছে জানতে চান বিচারপতি। |
|
|
|
|
|