বৃত্তির জন্য আবেদন পত্রে সই নিয়ে গোলমালে মিছিল, অবরোধ ও পাল্টা মিছিলে তেতে উঠল বাদুড়িয়া। এর জেরে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ রইল বাদুড়িয়া-মসলন্দপুর রাস্তা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম শিমলা গ্রামের পাঁচজন ছাত্র সংখ্যালঘু বৃত্তি পাওয়ার আবেদন পত্রে সই করাতে যশাইকাটি-আটঘরা পঞ্চায়েতে যান। তাঁরা প্রধানকে সইয়ের জন্য বললে তিনি পদ্ধতিগত সমস্যার কথা বলেন। এ নিয়ে দু’পক্ষে বচসা বেধে যায়। হাবরা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু সাহিদ এবং বেড়াচাঁপা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অলিউর রহমান বলেন, “আবেদন পত্রে সই করানোর জন্য কংগ্রেস প্রধানের কাছে গেলে তাঁর পাশে বসে থাকা কয়েকজন আমাদের বিরোধী দলের লোক বলেন। এরপর প্রধান আমাদের আবেদন পত্র ছিঁড়ে মারধর করে পঞ্চায়েত দফতর থেকে বের করে দেন। আমাদের নামে মিথ্যা চুরির বদনামও দেওয়া হয়। ঘটনাটি আমরা শিক্ষামন্ত্রী-সহ প্রশাসনের সব স্তরে জানাই।” এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান অঞ্জনা মণ্ডল বলেন, “নিয়ম অনুসারে বৃত্তির আবেদন পত্রে সই করার আগে পরিবারের আয়ের শংসাপত্র চাওয়া হয়। তাতেই দেরি হয়েছে। এরপর ছাত্ররা আমাকে গালাগাল করে ও হুমকি দেয়। ওই ঘটনার পর ১০০ দিনের কাজের দু’টি জরুরি ফাইল লোপাট হয়ে গিয়েছে।” ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার পঞ্চায়েত দফতরের সামনে একদল ছাত্র বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ শুরু করেন। পুলিশ গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে তারাও। বিক্ষোভে তৃণমূল, সিপিএম এবং পিডিসিআইয়ের নেতারা রয়েছে এই অভিযোগে পাল্টা মিছিল করে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের দাবি, কয়েকজন ছাত্র পরিকল্পিত ভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে রাস্তা অবরোধ ও প্রধানকে হেনস্থা করেছে। যদিও অবরোধে যুক্ত থাকা তৃণমূল, সিপিএম এবং পিডিসিআই নেতারা জানান, ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতেই তাঁরা অবরোধে সামিল হন। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |