|
|
|
|
তছরুপের টাকা মেলেনি, এফআইআর-এর ভাবনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
একশো দিনের কাজে টাকা তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে আগেই। গত এক বছর ধরে অভিযুক্ত শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান-সহ চার জনকে তছরুপ হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে ভগবানপুর ১ ব্লক প্রশাসন। কাজ না-হওয়ায় এ বার ওই চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ভাবনাচিন্তা শুরু করল প্রশাসন। বিডিও উমাশঙ্কর দাস বলেন, “বারবার টাকা ফেরতের নির্দেশ পাঠালেও গ্রহণ করেননি প্রধান। তাই এফআইআর করার কথা ভাবা হচ্ছে।” অভিযুক্ত চার জনের কেউই মুখ খুলতে চাননি। পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা প্রধান শুধু বলেন, “এই মর্মে পঞ্চায়েতে কোনও নির্দেশ এসেছে বলে আমার জানা নেই।”
২০১১ সালে শিমুলিয়ার কিঁয়াবেড়িয়া গ্রামের রাস্তায় মাটি, মোরাম ফেলা ও বনমালীপুর গ্রামের একটি একশো দিনের প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, কাজ সম্পূর্ণ না হলেও পুরো টাকাই খরচ হয়েছে বলে তুলে নিয়েছেন প্রধান। ওই বছরেই শেষ দিকে তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। ২০১২ সালের গোড়ায় তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে প্রধান-সহ পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক ও প্রকল্পের দুই সুপারভাইজারকে শো-কজ করে প্রশাসন। অভিযুক্তদের জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় জেলাশাসকের নির্দেশ মতো বিডিও তছরুপ হওয়া ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৮৮ টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন চার জনকে। গত এক বছর ধরে বারবার নির্দেশ পাঠানো হলেও অভিযুক্তেরা তাতে কান দেননি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শেষ পাঠানো নির্দেশপত্রে ওই টাকা চার জনকে সমান ভাগে ভাগ করে দিতে বলা হয়েছে তমলুকের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। এখনও সেই টাকা জমা পড়েনি। সিপিএমের জেলাকমিটির সদস্য সুব্রত মহাপাত্র বলেন, “গোটা ব্লক জুড়েই বিভিন্ন প্রকল্পে এই ভাবে টাকা নয়ছয় হচ্ছে। সরকারি অর্থ পকেটে পুরছেন তৃণমূলের লোকেরা। ওই টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে দলে।”
ভগবানপুরের তৃণমূল নেতা স্বপন রায় অবশ্য বলেন, “প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে নির্মাণ সহায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। যুক্তিহীন ভাবে প্রধান ও দুই সুপারভাইজারকে জড়ানো হচ্ছে। দল ওঁদের পাশে আছে।” |
|
|
|
|
|