|
|
|
|
মেদিনীপুরের ট্রাফিক নিয়ে |
অসন্তোষ খোদ বিধায়কের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের বৈঠকেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। তাঁর মন্তব্য, “শুধু কর্মীর অভাব বলে দায় সারলে হবে না। ট্রাফিক সামলানোর যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সকলে ঠিক মতো কাজ করছেন না। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।”
সোমবার মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্তর দফতরে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিধায়ক। বিধায়কের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সদর মহকুমাশাসকের বক্তব্য, “শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে। কর্মীদের সকলে তাঁদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছেন কি না, তা দেখতে নজরদারি চালানো হবে।”
মেদিনীপুর শহরের কেরানিচটি, ধর্মা, আমতলা, অশোকনগরে যত দ্রুত সম্ভব অটো স্ট্যান্ড করা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এর মধ্যে কেরানিচটিতে তিরিশটি অটো থাকবে, ধর্মায় ২০টি, আমতলায় ৫০টি, অশোকনগরে ২০টি থাকবে। বৈঠকে শেষে প্রশাসনের এক আধিকারিকের আশ্বাস, “এক মাসের মধ্যে অটো স্ট্যান্ডগুলো করার চেষ্টা চলছে।” মেদিনীপুর শহরে যানজট সমস্যা রয়েছে। অটো দৌরাত্ম্যের জেরে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ। শহরবাসীর বক্তব্য, অটো ইচ্ছে মতো যেখানে- সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় রুট পারমিট মানা হয় না। দিনের বেলায় শহরে বড় গাড়ি ঢোকার ফলেও যানজটের সৃষ্টি হয়। আগের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩ টে থেকে সন্ধে ৬টা শহরের মধ্যে লরি ঢুকতে পারবে না। এ জন্য নজরদারিও চলে। তবে সেই নজরদারির ফাঁক গলে লরি ঢুকছে বলেই অভিযোগ। সোমবারের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বিধায়ক সাফ জানান, “ব্যবসায়ী সংগঠন তাদের দাবি জানাতেই পারেন। প্রয়োজনে আমতলা এবং হোসনাবাদের কাছে লরি দাঁড় করানো যেতে পারে। সেখান থেকে ছোট গাড়িতে করে মালপত্র শহরে আনা যেতে পারে। তবে কোনও ভাবেই ওই সময়ের মধ্যে শহরে লরি ঢুকবে না। ঢুকলে পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।”
এলআইসি মোড় সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় যে ভাবে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, সেই বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। বিধায়ক বলেন, “যানজট সমস্যা এড়ানোর চেষ্টা চলছে।” তাঁর কথায়, “কেরানিতলায় সিগন্যাল ব্যবস্থা ভালই চলছে। তবে এলআইসি মোড়ে সে ভাবে চলছে না। এক সময় শহরে ৮ জন ট্রাফিক কর্মী ছিলেন। এখন ২২ জন বেড়েছে। কর্মীর অভাব থাকলে সমস্যা হয়ই। তবে শুধু কর্মীর অভাব বলে দায় সারলে হবে না। কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ফের বৈঠক হবে।” |
|
|
|
|
|