কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিকে চমক আখ্যা সিপিএমের
সন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রদেশ কংগ্রেসের ঢালাও প্রতিশ্রুতিতে সিপিএম খানিকটা বিব্রত। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদককে তাই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দলের প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারের তীব্র সমালোচনা করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর বলেন, ‘‘এটা প্রতারণার দলিল। রাজ্যে বিরোধী দলের রাজনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর এটা সর্বশেষ প্রচেষ্টা। এ সব ছাপিয়ে (ইস্তাহার) মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।”
কংগ্রেসের সাম্প্রতিক ‘চিন্তন শিবির’-কে কটাক্ষ করে বিজনবাবু বলেন, ‘‘কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা ওই বৈঠকে কী ভাবে আরও সর্বভারতীয় নেতা তৈরি করা যায়, সে প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। অথচ, দেশে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালাতে বিদেশি পুঁজির উপর নির্ভরশীলতা কী ভাবে কমিয়ে আনা যায়, কী ভাবে নিজস্ব অর্থনীতির ভিত মজবুত করা যায়, দেশের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে নিজস্ব অর্থনীতি তৈরি করা যায় তা নিয়ে ওঁদের কোনও চিন্তাই নেই।” তাঁর বক্তব্য, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বিদেশি পুঁজির প্রভাব থেকে কী ভাবে মুক্ত করা যায় সেই দিকটি এই বৈঠকে উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছে। কেন্দ্রেও তো কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন একটি সরকার চলছে। বিজনবাবু প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের আগে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার কী হল। ত্রিপুরা কংগ্রেসের ৩২ পৃষ্ঠার নির্বাচনী ইস্তাহারে ধারা, উপধারা, ব্যাখ্যা মিলে বহু প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, এই প্রতিশ্রুতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সবাই জানেন।
প্রদেশ কংগ্রেসের ইস্তাহারে যে ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতির কথা রয়েছে, সেগুলি নাকি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অনুমোদন নিয়েই অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি। বিজনবাবু সেই দাবির উল্লেখ করে বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইস্তাহার কী ভাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ‘অনুমোদন’ পায়? এটা কখনওই হতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে কৃষি, খাদ্য, পেট্রোপণ্যে ভর্তুকি হ্রাস করছে, সেখানে রাজ্য কংগ্রেস ইস্তাহারে নতুন করে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলছে। বিজেনবাবুর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা বিধায়ক আশিস সাহা। তিনি বলেন, ‘‘এ বার ত্রিপুরা কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার কেন্দ্রীয় নেতা এ কে অ্যান্টনির নেতৃত্বাধীন ইস্তাহার স্ক্রুটিনি কমিটির অনুমোদন নিয়েই করা হয়েছে। পি চিদম্বরমও সেই কমিটির সদস্য। ফলে কোনও প্রতিশ্রুতিই বাস্তববর্জিত নয়। সিপিএম এখন উল্টোপাল্টা যুক্তি দেখাচ্ছে।”
ধৃত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে। বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর বর্মনের বড় ছেলেকে আসাম রাইফেলস-এর জওয়ানরা আজ গ্রেফতার করল। জিরানিয়া থানার পুলিশ জানায়, ‘‘আটক করার পর শারীরিক অবস্থা চেক আপের জন্য সন্দীপ রায়বর্মনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা।’’ রাজ্যের বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সুদীপ রায়বর্মনের দাদা, সন্দীপ জিরানিয়া অঞ্চলে একটি ইটভাটায় নিজস্ব কাজে গিয়েছিলেন। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে আসাম রাইফেলসের জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশ যৌথ ভাবে চম্পকনগরের ওই ইটভাটায় হানা দেয়। সন্দীপ রায়বর্মনের কাছ থেকে বেআইনি কিছু অস্ত্র এবং বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, ‘‘নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে কলঙ্কিত করার জন্যই প্রশাসনের তরফে এই ঘটনা সাজানো হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদীপ রায়বর্মন ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে আসাম রাইফেলসের এক কর্তার অভিযোগের তদন্তভার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশে আগেই সিআইডিকে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই তদন্ত এখনও চলছে। ভোটের মুখে এই ঘটনা কংগ্রেসের পক্ষে অস্বস্তিকর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.