তৃণমূল এবং বাম কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে জখম হয়েছে অন্তত ৩৪ জন। শনিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের চিলকিরহাটের ঘটনা। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চিলকিরহাট হাইস্কুলে এ দিন বামফ্রন্টের কর্মিসভা ছিল। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের লোকজন সভায় হামলা চালায়। ভেস্তে যায় সভা।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা সভা ছেড়ে দলের এক সমর্থকের বাড়িতে আশ্রয় নেন। গণ্ডগোলের সময় সিপিএম এবং তৃণমূল দু’পক্ষের একটি করে পার্টি অফিস ছাড়াও কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “বামফ্রন্টের কর্মিসভা বানচাল করতে পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোয় ১২ জন জখম হয়েছেন। মহানন্দবাবু বক্তব্য রাখার সময় হামলা চালানো হয়। একটি পার্টি অফিস ও কিছু সমর্থকের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। সভা ভেস্তে যায়।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, “চিলকিরহাটে দলের অফিসে কর্মীরা আলোচনা করছিলেন। সেই সময় সিপিএম হামলা চালায়। ২২ জন জখম হন। পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে।” |