পরীক্ষায় অনৈতিক উপায় অবলম্বন করেছেন, এই সন্দেহে জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র শিক্ষক শিক্ষণ তথা বিএড কলেজের অধ্যক্ষ শুভেন্দু মোদককে চলতি বছরে আর কোনও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ (ইগনু) জানিয়েছে। ইগনুর উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক অধিকর্তা বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলেন, “শুভেন্দু মোদক অনৈতিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। এ বিষয়ে দিল্লি থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে ওঁকে চলতি বছরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।” ঘটনাচক্রে, শুভেন্দুবাবু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত নিরপরাধ প্রমাণ না-হচ্ছেন, ততদিন কর্মসমিতি ও বিএড কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে রাখতে হবে শুভেন্দুবাবুকে।
গত বছর শিলিগুড়ির ঘুঘুমালির একটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শুভেন্দুবাবু পরীক্ষা দেন। ইগনুর আঞ্চলিক দফতরের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই পড়াশোনার রসদ সরবরাহ করে। শুভেন্দুবাবুর উত্তরপত্র খতিয়ে দেখা গিয়েছে স্টাডি মেটেরিয়ালে যে ভাবে উত্তর লেখা রয়েছে, শুভেন্দুবাবুর উত্তরপত্রেও হুবহু এক লেখা। সেক্ষেত্রে তিনি নকল করেছেন, এটাই প্রমাণ হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। শিলিগুড়ির ঘুঘুমালির যে কেন্দ্রে শুভেন্দুবাবু পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেখানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংযোজক বিকাশ সেনরায় বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রে শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে কোনও নকল করা কিংবা অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বনের বিষয় ধরা পড়েনি। অনেক ক্ষেত্রে উত্তরপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গতি দেখতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেরাই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেন। শুভেন্দু বাবুর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।” এ দিন দিনভর চেষ্টা করেও শুভেন্দু বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ কলেজ শিক্ষক বলেন, “বিষয়টিকে যে ভাবে প্রচার করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ করা হচ্ছে।” |