শিলিগুড়িতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ ঢিমেতালে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে শিলিগুড়ির গঙ্গানগরে একটি আইসক্রিম কারখানার দু’টি ঘরের পাঁচিল ভেঙে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুরসভার এই ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বাছাই কয়েকজন প্রোমোটারকে আড়াল করতে প্রভাবশালী একটি মহল সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নেতা-কর্মীদের একাংশ। রবিবার মন্ত্রী শিলিগুড়ি পৌঁছে পুরসভার বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত কাজের পর্যালোচনা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর কাজল চন্দ, সুজয় ঘটক একই সুরে জানান, বিল্ডিং বিভাগের একাংশের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ শোনা যায়, তা যে ঠিক নয় সেটা প্রমাণ করতে সব কটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে হবে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের নুরুল ইসলাম বলেন, “রাঘববোয়ালদের আড়াল করার জন্য কিছু চুনোপুটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান লোক দেখানো। মেয়রের সঙ্গে কথা বলব।”
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “দলের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার। ধীরে ধীরে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হবে। বিরোধীদের অভিযোগ ঠিক নয়। আর অধিকাংশ বেআইনি নির্মাণ তো বামেদের আমলে হয়েছে।” পুরসভা সূত্রের খবর, চাপে পড়ে শুক্রবার থেকে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার অভিযান শুরু করে পুরসভা। ওই দিন ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে তিনটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, সেখানে আদর্শ মহাবিদল্যালয়, ‘ল্যান্ডমার্ক’ সহ বেশ কয়েকটি বেআইনি বাণিজ্যিক নির্মাণের ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। |