মন্ত্রিত্ব নিয়ে সিঙ্গুরের দলীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হল তৃণমূল।
শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন হুগলির সাংসদ রত্না দে নাগ এবং সদ্য মন্ত্রী হওয়া হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। এতে কিছুটা স্বস্তি বোধ করেছেন সিঙ্গুরের ‘মাস্টারমশাই’। আমন্ত্রণ পেলে আগামী ৩০ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুরের কর্মসূচিতেও যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে, মন্ত্রিত্বে যোগ দেবেন না বলে এখনও অনড় রয়েছেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আমি রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, মুখ্যমন্ত্রী যদি ডাকেন আমি
নিশ্চয়ই যাব। সেখানে না যাওয়ার ঔদ্ধত্য আমার নেই। এটা আমার নাগরিক দায়িত্ব।” |
সাংসদ রত্না দে নাগের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথবাবু।
শনিবার বিকেলে দীপঙ্কর দে-র তোলা ছবি। |
গত বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের পরেই শোরগোল পড়ে যায় অশীতিপর রবীন্দ্রনাথবাবুর সিদ্ধান্তকে ঘিরে। কৃষি দফতর থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বের পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ওই দফতর পছন্দ না হওয়ায় মন্ত্রিত্ব থেকেই সরে দাঁড়ান রবীন্দ্রনাথবাবু। জানিয়ে দেন, আর মহাকরণে যাবেন না। তিনি রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিতে চলেছেন কি না, সেই প্রশ্নও সামনে চলে আসে। শুক্রবার তিনি জানিয়েছিলেন, দলের তরফে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাঁর বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, রবীন্দ্রনাথবাবুর ক্ষোভ প্রশমিত করতে দল উদ্যোগী হয়েছে। সেই কারণেই রত্নাদেবী ও বেচারামবাবু এ দিন সিঙ্গুরে যান। বেচারামবাবু ‘মাস্টারমশাই’কে প্রণাম করেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “মনে হচ্ছে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এখনই আগ বাড়িয়ে সে ব্যাপারে মন্তব্য করার সময় আসেনি। কোনও সরকারি মিটিং হলে সরকার জানাবে। সংগঠনের মিটিং হলে দল জানাবে। এই দু’টো বিষয় মিললে তবেই যাওয়ার প্রশ্ন। তবে, আমি জানি সিঙ্গুরের ওটা সরকারি মিটিং।” এই সাক্ষাৎ নিয়ে রত্নাদেবী অবশ্য সে ভাবে কোনও মন্তব্য
করতে চাননি। তিনি বলেন, “মাস্টারমশাইয়ের শরীর ভাল যাচ্ছে না। আমি তাই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম।” বেচারামবাবু জানান, তিনি আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন। |