মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের প্রথম দিনই ৩২২ রানের বোঝা চেপে বসল বাংলার ঘাড়ে। সারা দিনে ৯০ ওভারে পাঁচটার বেশি উইকেটও ফেলতে পারলেন না বাংলার বোলাররা। দ্বিতীয় দিন কোথায় গিয়ে থামবে মধ্যপ্রদেশ এবং সেই রানের পাহাড় টপকাতে পারবে কিনা মনোজ তিওয়ারিহীন বাংলা, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
বাংলা শিবির অবশ্য আশাবাদী, হোলকার স্টেডিয়ামে উইকেটের চরিত্র যে রকম, তাতে তাঁরাও ভাল ব্যাট করবেন। দলের সিনিয়র ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্ল যেমন শনিবার ইন্দৌর থেকে ফোনে বললেন, “উইকেট বেশ ভাল। ওরা যেমন ভাল ব্যাট করেছে, আমাদেরও ভাল ব্যাট করা উচিত। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ভাল খেলা হবে।” এমনিতেই এই উইকেট ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করবে, এমন আশায় দলে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান রাখা হয়েছে। ইরেশ সাক্সেনাকে দলের বাইরে রেখে অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালাকে নেওয়া হয়েছে প্রথম এগারোয়। চোট পাওয়া মনোজের জায়গায় খেলছেন ঋতম পোড়েল। ভারতীয় দলের সঙ্গে থাকা অশোক দিন্দার বদলে রয়েছেন বীরপ্রতাপ সিংহ।
মধ্যপ্রদেশের ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলার জন্য এ দিন সৌরভ সরকার, সামি আহমেদ, বীরপ্রতাপ ছাড়াও বল করলেন লক্ষ্মী, অভিষেক ও অনুষ্টুপ। কিন্তু এঁদের মধ্যে উইকেট পেলেন শুধু অভিষেক। মধ্যপ্রদেশের ওপেনার ও উইকেটকিপার নমন ওঝাকে সেঞ্চুরির মুখ থেকে ফিরিয়ে দেন তিনি। আর এক রান করলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশ নম্বর সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন নমন। ওই সময়েই অভিষেকের ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান তিনি। ৩৬ রানের মধ্যেই অন্য ওপেনার জাফর আলি ও তিন নম্বর ব্যাটসম্যান সত্যম চৌধুরিকে ফেরত পাঠিয়ে দেন সামি। এর পর নমন ও শততম রঞ্জি ম্যাচ খেলা অধিনায়ক দেবেন্দ্র বুন্দেলার ১২৭ রানের জুটিই মধ্যপ্রদেশকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বিপক্ষের স্কোরবোর্ডে যখন ২১১, তখনই বুন্দেলার স্টাম্প ছিটকে দেন বীরপ্রতাপ। পেসারদের মধ্যে অবশ্য সামি আহমেদই সবচেয়ে সফল।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর: মধ্যপ্রদেশ ৩২২-৫ (নমন ৯৯, বুন্দেলা ৬১, সামি আহমেদ ২-৬৮, সৌরভ ১-৮৩)। |