গাজা/জেরুজালেম লন্ডন ব্যাঙ্কক ইসলামাবাদ লন্ডন |
এক সপ্তাহের সংঘর্ষ-শেষে গাজা-র প্যালেস্তাইনি সংগঠন হামাস-এর সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতি। গাজায় সামান্য শান্তি (ছবি)। আর ইজরায়েল? হামাসের অস্ত্রসম্ভার, ইরান থেকে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্র যথাসম্ভব ধ্বংস করে দেওয়াই ছিল ইজরায়েলের প্রধান উদ্দেশ্য। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র থেকে জেরুজালেম বা তেল আভিভের মতো শহরগুলি রক্ষা করার ব্যবস্থা কতটা পাকাপোক্ত, সেটাও যাচাই করা হল এই সাত দিনে। অর্থাৎ পরীক্ষামূলক ছায়াযুদ্ধ? হবেও বা। গবেষণার খরচ মেটাতে মাত্র শ’দেড়েক প্রাণ: সস্তাই বলতে হবে।
• তাইল্যান্ডে রাস্তায় রাস্তায় কাঁদানে গ্যাস। দশ হাজার প্রতিবাদী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়ার্তাকে এখনই ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ রাজত্ব চলবে না, এই হল দাবি। কিছু কাল আগে ব্যাঙ্ককে যে ‘হলুদ শার্ট’ আন্দোলন চলছিল, এই বিক্ষুব্ধরা তাঁদেরই কমরেড।
• উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানে আবার বোমা বিস্ফোরণ, আবার মৃত্যু। শিয়া ধর্মীয় মিছিলের উপর এসে পড়ে বোমা। ছয় জন নিহত। প্রসঙ্গত মহরমের আগে সতর্কতার জন্য পাকিস্তান বহু অঞ্চলে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করেছে।
• সেন্ট্রাল লন্ডন স্তব্ধ ‘উলঙ্গ যিশু’র জন্য। উলঙ্গ মানুষটি একটি স্ট্যাচুর উপরে চড়ে বসে থাকে বহু ক্ষণ। প্রধানমন্ত্রীর অফিস অঞ্চল হোয়াইটহলে। ফলত দুপুর থেকে তিনটে অবধি প্রবল কর্মব্যস্ত শহরের মধ্যাঞ্চল স্তব্ধ হয়ে যায়।
|
• গাজার বাইরেও আর একটা যুদ্ধ। সেই প্রচ্ছন্ন যুদ্ধে ব্রিটেন বনাম ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সেই যুদ্ধে অন্যতম প্রধান সেনাপতি। তাঁর দাবি, ই ইউ-র প্রশাসনিক খরচ কমাতে হবে। রাজি নয় ই ইউ। অভিযোগ, ক্যামেরনের আসল লক্ষ্য ইউনিয়নের বাজেট চেপে রাখা। সেই উদ্দেশ্য ঢাকতেই ক্যামেরন ছোটখাটো খরচ নিয়েও প্রবল দরকষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন। |
|
মিশরের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সি নতুন ডিক্রি জারি করেছেন। বলেছেন, কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি নতুন সংবিধান লিখছে, ইতিমধ্যে এই অ্যাসেম্বলি কেউ ভেঙে দিতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্ত করা হল। স্বভাবতই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ তুঙ্গে। বিরোধী নেতা, প্রাক্তন নোবেল-বিজয়ী মহম্মদ এলবারাদেই বলেছেন সব আইনের উপরে উঠে মুর্সি মিশরে নতুন ফারাও হতে চলেছেন। অগস্ট মাসেই সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব কমানোর জন্য অনেকগুলি পদক্ষেপ নেন মুর্সি। এ বার বিচারবিভাগের কর্তৃত্ব কমিয়ে শাসনবিভাগকে অবিসংবাদী ক্ষমতা দেওয়ার চেষ্টা। প্রগতিশীলরা বলছেন, বিচারবিভাগের পরিবর্তন জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা এত বেড়ে গেলে মুশকিল।
|
গত সপ্তাহে সিরিয়ার কথা বেশি ভাবার সময় পায়নি বিশ্ব দুনিয়ার প্রচারমাধ্যমগুলি। গাজার দিকেই সব দৃষ্টি আটকে ছিল। সেই এক সপ্তাহে সকলের অলক্ষ্যে কী ঘটল সিরিয়ায়? প্রায় সাড়ে আটশো মানুষ নিহত সাত দিনে, এক সোমবারেই দেড়শো হত। (গাজার হতের সংখ্যা সব মিলিয়েই দেড়শো)। ২০১১-র মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত সিরিয়ায় চল্লিশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন বিদ্রোহের চোটে। ইজরায়েলি র্যাবাই এমনকী এও বলেছেন, কী করে নিশ্চুপে মানুষ মারতে হয় সিরিয়ার কাছে শেখা উচিত। প্রেসিডেন্ট বাশারের (ছবি) বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ গোটা দেশ জুড়ে। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের তীব্রতা একচুলও কমছে না।
|
আয়াতোল্লা খামেনেই কড়া অভিভাবক! ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমদিনেজাদের টার্ম শেষ হচ্ছে আগামী বছরের মাঝামাঝি, সময় যতই এগিয়ে আসছে, দেশে তাঁর বিরোধিতাও ব্যাপক ভাবে বাড়ছে। ইরানের অর্থনীতির প্রবল দুর্দশা সত্ত্বেও তেমন কিছুই করেননি প্রেসিডেন্ট, এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিলেন এম-পি’রা, তাঁর সঙ্গে সামনাসামনি প্রশ্নোত্তর চালানোর একটা ব্যবস্থা হচ্ছিল পার্লামেন্টে। এমন সময়ে খামেনেই এম-পি’দের ডেকে পাঠিয়ে বকে দিলেন। বললেন, বাড়াবাড়ি নয়। চার দিকে বিপদ, এখন প্রেসিডেন্টটকে হেয় করার বেশি চেষ্টা করলে শত্রুদেরই সুবিধে হবে। তার চেয়ে যে যার কাজে মন দাও গে যাও। বকুনি খেয়ে এম-পি’রাও সুটসুট করে ফিরে গেলেন যে যার কোটরে।
|
মালালা ইউসুফজাইয়ের কুম্ভীরাশ্রুতে বিশ্বাস করবেন না মোটে। ও হল মার্কিন দখলদারদের দলে।’ লন্ডনের একটি ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠীর বার্তা। গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা ইসলামাবাদ যাচ্ছেন, সেখানকার মৌলবাদীদের সঙ্গে আলোচনা করে মালালার শাস্তি স্থির হবে! অভিযোগ হিজাব, জিহাবের মতো ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করেছেন মালালা। ফতোয়া বেরোচ্ছে।
|
যাযাবর সিঙ্গাপুরের দিকে দৃষ্টিপাত করলে নিজের অন্তর্দৃষ্টির তারিফ না করে পারতেন না। এশিয়ার তো বটেই, গোটা দুনিয়ার উন্নততম দেশের একটি: সিঙ্গাপুর। সব বড় সংস্থার ভিড় সেখানে, জীবন প্রবল দ্রুতবেগী। অথচ (না কি বলা উচিত, ফলস্বরূপ?) এই দেশের মানুষদের মধ্যেই নাকি আবেগের পরিমাণ সবচেয়ে কম। জর্জিয়া, লিথুয়ানিয়া, রাশিয়ার বাসিন্দাদের চেয়েও কম। আনন্দ-দুঃখ, অপমান-সম্মান, কোনওটাই নাকি তেমন ভাবে ছোঁয় না তাঁদের, আবেগের প্রকাশও কম। দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষণ কাজ করেন তাঁরাই, অথচ বেশি কাজ করছেন কি না, জিজ্ঞেস করায় মাত্র দুই শতাংশ লোক ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। |