|
|
|
|
বিহারই দিশা দেখাবে, দাবি নীতীশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
সাত বছরে পড়ল নীতীশ সরকার। আর সেই সূত্রেই জোর গলায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবি, “বিহারের উন্নয়ন দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে আগ্রহ বাড়িয়েছে। আগামী দিনে বিহারকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিহারই অন্য রাজ্যগুলির জন্য ‘মডেল’ হিসেবে উঠে আসছে।”
নীতীশের নেতৃত্বাধীন সরকার গত এক বছরে কী কাজ করেছে এবং আগামী দিনে কী করবে তা নিয়ে এ বারেও ‘রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে সর্ব ক্ষেত্রেই বিহার অগ্রগতির পথে এমন দাবি জানিয়ে নীতীশ আজ বলেন, “এই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দরকার কেন্দ্রীয় সাহায্য। বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে তাকে সাহায্য করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।”
কেন এখনকার বিহার অন্যদের দিশা দেখাতে পারে? নীতীশ বলেন, “দুর্নীতি রোধে বিহারই দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব স্তরের সরকারি কর্মীকে বাৎসরিক সম্পত্তির হিসেব দিতে হয়। এর জন্য বিশেষ আইন রচনা করা হয়েছে। যখনই জেলায় গিয়েছি মানুষ অভিযোগ করেছেন, টাকা না দিলে সরকারি অফিসে কাজ পাওয়া যায় না। এই দুর্নীতি বন্ধে বিশেষ নজরদারি নজরদারি চালানো হয়। গত পনেরা মাসে তার সুফল পেয়েছেন রাজ্যের আড়াই কোটি লোক।”
দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই ছাড়াও নীতীশ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, কৃষি, বিদ্যুৎ, সড়ক, স্বাস্থ্য, পর্যটনএমন সব ক্ষেত্রেই প্রভূত উন্নতি ঘটানো গিয়েছে বলে দাবি করেন।
মধুবনীর ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, “যাদের মৃত বলে চালানো হয়েছিল, তাদের পরে দিল্লিতে খুঁজে পাওয়া যায়। আসলে বিহারের উন্নয়নে কারও কারও বুক ফেটে যাচ্ছে।”
কৃষি রোড ম্যাপের উল্লেখ করে নীতীশ বলেন, “এর মাধ্যমে রাজ্যের ৭৬ শতাংশ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। গ্রামে ৮০ শতাংশ মানুষ বসবাস করেন। তার মধ্যে ৭৬ শতাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। কৃষির সব দিকে আমরা নজর দিতে চেয়েছি।”
বিদ্যুতের ব্যাপারে যে কিছু সমস্যা আছে তা মেনে নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বাইরে থেকে বিদ্যুৎ কিনছি। তিন বছরের মধ্যে যদি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে না পারি, তা হলে আর মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাব না।”
সড়ক যোগাযোগ বিষয়ে নীতীশের মন্তব্য, “আমাদের লক্ষ্য, রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে ছ’ঘণ্টায় রাজধানী পটনায় পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা।” |
|
|
|
|
|