‘জেমস বন্ডের গাড়ি’র চাবির দখল নিতে শেষ ল্যাপে গতি বাড়াল মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা। কিংবদন্তি ব্রিটিশ ব্র্যান্ড অ্যাস্টন মার্টিনের অর্ধেক মালিকানা কিনে নিতে শেষ মুহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী ইতালীয় সংস্থার তুলনায় বেশি দর হাঁকল তারা।
২০০৭ সালে দুই দুনিয়া প্রসিদ্ধ ব্রিটিশ গাড়ি ব্র্যান্ড জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার-কে পকেটে পুরেছিল টাটারা। তখনও ওই দুই সংস্থা কিনতে প্রাথমিক ভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা। পরে অবশ্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে তারা। এ বার কিন্তু একেবারে শেষ বেলায় বেশি দাম হেঁকে প্রায় একপেশে লড়াইকে জমিয়ে দিল ভারতীয় সংস্থাটি। কারণ, গত বৃহস্পতিবারই দর পেশ করে অ্যাস্টন মার্টিন কেনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিল ইতালির প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড ইনভেস্তইনদাস্ত্রিয়াল। কিন্তু তার পরই তাদের টপকে বেশি দর হাঁকে মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্সিডিজ নির্মাতা ডেমলারের সঙ্গে প্রযুক্তিগত গাঁটছড়ার কারণে এই দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ইতালীয় সংস্থাই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যদি মহীন্দ্রা বাড়তি কড়ি গুণে বাজিমাত করতে পারে, তবে ফের একটি কিংবদন্তি ব্রিটিশ গাড়ি ব্র্যান্ডের মালিকানা আসবে কোনও ভারতীয় সংস্থার ঝুলিতে। |
শুধু নামী বিলাসবহুল গাড়ি হিসেবে নয়। জেমস বন্ডের গাড়ি হিসেবে অ্যাস্টন মার্টিন-কে এক ডাকে চেনে সারা দুনিয়া। কারণ, শঁ কোনরি থেকে পিয়ার্স ব্রসন্যান হয়ে ড্যানিয়েল ক্রেগ সিনেমার পর্দায় বন্ড বদলালেও তাঁর সঙ্গী থেকেছে অ্যাস্টন মার্টিনের কোনও না কোনও মডেল।
কিন্তু রুপোলি পর্দায় চমক অব্যাহত থাকলেও, বহু দিন ধরেই লাভের মুখ দেখতে সমস্যায় পড়েছে ‘বন্ডের গাড়ি’। যে কারণে ২০০৭ সালেই অ্যাস্টন মার্টিন বিক্রি করে দেয় মার্কিন বহুজাতিক ফোর্ড। আপাতত তার মালিকানা এক কুয়েতি সংস্থার হাতে। এখন অ্যাস্টন মার্টিনের অর্ধেক মালিকানা বিক্রি করে দিতে চায় তারাও। এই পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা বাজিমাত করতে পারে, তবে তা-ও কম রোমাঞ্চকর হবে না।
রুপোলি পর্দায় প্রতি বার একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছিটকে দেওয়াই বন্ডের দস্তুর। মহীন্দ্রাও কি বন্ড হয়ে উঠতে পারবে? সেদিকেই তাকিয়ে দুনিয়া। |