গার্লস কলেজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন আইএনটিইউসি অনুমোদিত কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের নেতা বীরেন মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, তথ্য জানার অধিকার আইনে আসানসোলের ওই কলেজ কর্তৃপক্ষকে গত ১৬ জুন এবং ২২ অগস্ট আবেদন করেন। জবাব না পেয়ে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানান। ৭ সেপ্টেম্বর ওই দফতরের তরফে তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের থেকে বীরেনবাবু কোনও উত্তর পাননি বলে অভিযোগ।
বীরনবাবুর অভিযোগ, কলেজের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুহৃত বসুমল্লিক এবং সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ পি কে দে সরকারের আমলে কর্মী নিয়োগ, ভবন তৈরির খরচ, কাজের দরপত্র ডাকা-সহ নানা বিষয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে। সে সবের তথ্যই জানতে চেয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি। এর আগে আসানসোলের বাসিন্দা বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ‘ডিরেক্টরেট অফ পাবলিক গিভেন্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্স অফিস’ ও রাজ্য সরকারের ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ জানান, পি কে দে সরকারের আমলে গাছ বিক্রি ও জাতীয় সেবা প্রকল্পের টাকা খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে।
সুহৃতবাবু অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেন, দুর্নীতির অভিযোগে পদ থেকে অপসারিত এক অধ্যাপকের মদতে কয়েক জন এ সব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পি কে দে সরকারও। কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অরূপ ভট্টাচার্য বলেন, “সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি। সব কিছু জানা নেই। পরিচালন সমিতির সভায় আলোচনার পরে তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।” |