প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকার অভিযোগে দুর্গাপুরের কুমারমঙ্গলম পার্কের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিল দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি)। পার্কের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আটের দশকের মাঝামাঝি ডিএসপি শহরের কেন্দ্রে ৮০ একর জায়গায় গড়ে তোলে কুমার মঙ্গলম পার্ক। দেশের প্রথম ইস্পাতমন্ত্রী মোহনকুমার মঙ্গলমের নামে পার্কের নামকরণ করা হয়। দুর্গাপুর ছাড়া আশপাশের জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা আসতেন এখানে। কিন্তু নব্বই দশকের গোড়ায় ডিএসপি’র আর্থিক সংকট তৈরি হলে ১৯৯৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় পার্কটি। পরে অবশ্য পার্ক চালু করার ফের উদ্যোগ নেয় ডিএসপি। তবে পার্কের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি বেসরকারি সংস্থাকে। |
ডিএসপি’র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিভুরঞ্জন কানুনগোর অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে পার্ক-কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল মেটাচ্ছেন না। তিনি বলেন, “পার্কের প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তাই পার্কের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে।” তিনি জানান, শুধু পার্ক নয়, বেআইনিভাবে যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে ও যাদের বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে, তাদের সবার বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু হয়েছে। |
তবে ডিএসপির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এমডি দেবাশিস রায়ের দাবি, ডিএসপি অতিরিক্ত প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল পাঠিয়েছে। তাই নিয়ে মতান্তরের জেরেই ডিএসপি কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের জন্য ডিএসপিকে আবেদন করেন তাঁরা। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, “আলোচনার আগেই আগাম নোটিস না দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। আপাতত জেনারেটর চালিয়ে পার্কের ন্যূনতম প্রয়োজন মিটছে।” কিন্তু শনি ও রবিবার মিউজিক্যাল ফোয়ারা কীভাবে চালাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি। বিভুরঞ্জনবাবু অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা বক্ত ব্য, “পার্ক কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েক বার নোটিস দেওয়া হলেও ফল হয়নি।” এ অবস্থায় পার্কের দর্শনার্থীদের বক্তব্য, দ্রুত দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হলে বঞ্চিত হবেন তাঁরাই। |