অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জড়তা কাটিয়ে সহজেই কথাবার্তা বলানো শেখাতে পারবে রোবট শিক্ষক। অন্তত এমনটাই মনে করছেন গবেষকেরা।
বেশ কিছু দিন ধরে গবেষণা চালিয়ে ওই বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণ শিক্ষকের চেয়ে রোবট শিক্ষকের কাছে অনেক বেশি সহজ হতে পারে। তাই যে কোনও জিনিস তারা শিখে ফেলে তাড়াতাড়ি। ওই গবেষকদের দাবি, যদি দেখা যায় সত্যি সত্যিই রোবট শিক্ষকেরা শিশুদের পড়াতে বেশি দক্ষ, তা হলে সাধারণ শিশুদেরও রোবট শিক্ষকেরা পড়াতে পারবে। এর জন্য বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অফ এডুকেশনের’ গবেষকরা প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন ম্যাক্স আর বেনকে। হাঁটুর সমান উঁচু এই দু’টি রোবটের আকার আকৃতি অনেকটাই মানুষের মতো। তারা নাচতে পারে, খেলাধুলো করতে পারে, এমনকী তাই-চি (চিনে প্রচলিত এক ধরনের মার্শাল আর্ট) করেও দেখাতে পারে। গত মার্চ মাস থেকে ক্যাসল ভালের একটি প্রাথমিক স্কুলে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের পড়াচ্ছে বেন আর ম্যাক্স।
আধুনিক প্রযুক্তি কী ভাবে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের সাহায্য করতে পারে তাই নিয়েই গবেষণা চালাচ্ছেন এই গবেষকেরা। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অফ এডুকেশনের’ গবেষক কারেন গাল্ডবার্গ বললেন, “রোবটগুলির ব্যবহার বেশ ভাল। তাই তাদের সঙ্গে পড়ুয়াদের বন্ধুত্ব হয়ে যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। ” গবেষণায় এর আগেও দেখা গিয়েছে যে, অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা মানুষের চেয়ে কম্পিউটার এবং প্রযুক্তির আশ্রয়ে বেশি নিরাপদ বোধ করে। কারও চোখে চোখ রেখে কথা বলতে গেলে এদের যে অসুবিধা হয় তা রোবটের সঙ্গে কথা বললে হয় না। কাজেই আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এদের উৎসাহ দেওয়া, কোনও কাজ করানো বা ভাবের আদানপ্রদান করতে শেখানো তুলনায় অনেকটাই সোজা। আর সেই কাজটাই করতে চাইছেন গাল্ডবার্গেরা। |