রোগীদের স্বার্থে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপারকে স্মারকলিপি দিতে এসে আইন ভেঙে মাইক বাজানোয় সমালোচনার মুখে পড়ল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ। এ নিয়ে পাল্টা হাসপাতাল সুপারের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে যুব তৃণমূল। শুক্রবারের এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ রোগীর আত্মীয়েরাও।
ডিওয়াইএফের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক সুজয় চৌধুরীর নেতৃত্বে শ’খানেক সমর্থকের একটি মিছিল বিষ্ণুপুর শহরে মিছিল করে সকাল এগারোটায় হাসপাতাল চত্বরে এসে পৌঁছয়। সেখানে কিছুক্ষণ ধরে মাইক বাজিয়ে চলে নেতাদের বক্তৃতা। সেই সঙ্গে কর্মীদের দফায় দফায় শ্লোগান। তাঁদের দাবিদাওয়া রোগীদের স্বার্থে হলেও, মাইকের দাপাদাপিতে অসন্তুষ্ট হন রোগীর আত্মীয়েরা। খবর পেয়ে সুপার দেবাশিস রায়ের কাছে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুব তৃণমূলের বিষ্ণুপুর শহর সভাপতি তথা কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। |
তিনি বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে মাইক বাজানো বেআইনি। ওঁদের বিরুদ্ধে তাই হাসপাতাল সুপারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।” হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন জয়পুরের অনিল দাসের বাবা। তিনি বলেন, “রোগীদের জন্য যেখানে শান্ত পরিবেশের প্রয়োজন, সেখানে কোন আক্কেলে হাসপাতাল চত্বরে একটি রাজনৈতিক সংগঠন এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মাইক বাজিয়ে বক্তৃতা-শ্লোগান চালিয়ে গেল ভেবে পেলাম না।” সুপার অবশ্য বলেছেন, “আমি কী করব? মাইক বাজানোর অনুমতি দেন মহকুমাশাসক। হয়ত তাঁর অনুমতি নিয়ে ওঁরা মাইক বাজিয়েছে।” মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অদীপ রায় বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে মাইক বাজানো বেআইনি কাজ। তার অনুমতি আমি দেব? এমনটা সুপার ভাবলেন কী করে!” তাঁর মতে, “মাইক বাজানোর অনুমতি রয়েছে কি না, তা দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া সুপারের উচিত ছিল।” তবে ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদকের মন্তব্য, “ওই হাসপাতালের কোনও প্রাচীর নেই। তাই বুঝব কী করে কতটা হাসপাতাল চত্বর?” তাঁর দাবি, কিছুটা তফাত রেখেই অল্প সময়ের জন্য মাইকে শ্লোগান চলেছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছু করা হয়নি।” |