প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বাড়ানোর জন্য পুরষ্কার পেল মুর্শিদাবাদ জেলার ১২টি গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কৃষ্ণপুর, অনুপপুর ও গোধনপাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ২ লক্ষ টাকা করে, ইসলামপুর, সাঁদিখানদিয়ার, বেলডাঙা ১ এবং ২, আমতলা, সাগরদিঘি, হরিহরপাড়াকে দেড় লক্ষ টাকা এবং বেনিয়াগ্রাম ও পাঁচগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দিচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তী বলেন, “গত বছর এই পুরষ্কার চালু করার পর অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মীদের মধ্যে কাজ করার দরদ বেড়ে গিয়েছে।” মুর্শিদাবাদ জেলায় গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৬। তার মধ্যে বেশ কিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ। অনেক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্হিবিভাগ ছাড়া কিছুই চলে না। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ জেলা খানিকটা পিছিয়ে। ২০০৪ সালে জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ছিল ৩৩ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ শতাংশ। পুরষ্কৃত স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি নিজ নিজ এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশে নিয়ে যেতে পারায় এই সাফল্য বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, “পিছিয়ে পড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকেও এগিয়ে আনা দরকার। অন্যেরা যা পারছে তারাই বা তা পারবে না কেন? প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বাড়লে প্রসুতি ও শিশুর মৃত্যু বন্ধ করা যাবে।”
|
হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে ফের সরব হলেন শহর কংগ্রেস নেতৃত্ব। শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের নেতা- কর্মীরা। সুপার যুগল করকে দেওয়া হয় স্মারকলিপি। ছিলেন দলের শহর সভাপতি সৌমেন খান, কুনাল বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতৃত্বের অভিযোগ, হাসপাতালে দালাল-চক্রের দাপট। রোগীদের প্যাথলজি পরীক্ষয় বাধ্য করা হচ্ছে। দালাল-চক্রের সঙ্গে যোগসাজস রয়েছে একাংশ চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্মীর। শহর কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “বুধবার রামচন্দ্র পাখিরা নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কোনও সিনিয়র চিকিৎসক তাঁকে দেখেননি। এখন জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়েই হাসপাতাল চলছে।” তাঁর বক্তব্য, ওই রোগীকে রেফার করা হয়েছিল। যদিও তার পরিস্থিতি ছিল না।” হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র থাকছে না- বলেও অভিযোগ করেন শহর কংগ্রেস নেতৃত্ব। পরে সুপার বলেন, “কিছু অভিযোগ ও দাবি জানানো হয়েছে। তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”
|
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার শুরু করল হাড়োয়ার লতারবাগান এলাকার কয়েকজন যুবক। সম্প্রতি ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে হাড়োয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে শিশুদের ব্যবহারের জন্য একটি বেবি সকার মেসিন ও সাধারণের ব্যবহারের জন্য একটি ফেটাল ডপলার মেশিন তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও ক্যানসার সচেতনতা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল। |